নারীবাদী সভ্যতা
তাসনিয়া রহমান
নারী মাত্রই কোমল, মমতাময়ী, স্নেহশীল, ত্যাগী। সমাজ এবং ধর্ম কখনোই নারীদের আত্মনির্ভরশীল হতে দেয় না, যদি-ও আমরা বর্তমানে দেখি যে অনেক নারী ডাক্তার, উকিল, পুলিশ, শিক্ষক, চাকুরীজীবি, ব্যাবসায়ী…
তবুও সিংহভাগ নারী অর্থনৈতিক ভাবে পরনির্ভরশীল, বেকার, দরিদ্র।
সমসাময়ীক কালে আমরা মুক্তচিন্তার বা নারীবাদী কিছু গোষ্ঠীকে দেখি যেখানে কিছু চক্র নারীদের ধর্মীয়, সামাজিক, আইনগত গন্ডীর বাইরে নিয়ে লিভ টুগেদারে প্রতি আগ্রহী করে তুলতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এবং ফ্রী সেক্স লাইফ উপভোগের উপকারিতা সম্পর্কে সদা সর্বদা নারীদের জাগ্রত করার জন্য প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে।
লিভ টুগেদার বা চুক্তিহীন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রতি ৮০ ভাগ পুরুষ আকৃষ্ট।
যারা চায় দায়িত্ব, কর্তব্য, সম্পর্কের বেড়াজালে বন্দী না থেকে এ ফুল থেকে ও ফুল ঘুরে বেড়াতে।
অথচ তারা চিন্তাই করে না বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক’জন নারী স্বনির্ভর? ক’জন নারী অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল?
পুরুষেরা এরকম মানসিকতা নিয়েই বেড়ে ওঠে যে, পুরুষ মানেই বহুগামী…
নারীরা পুরুষের ভোগ্যপণ্য।
তাই পরিবেশগতভাবে পাওয়া লালায়িত পৈশাচিক মানসিকতা পুরুষদের ইন্ধন দেয় ভালোবাসা ও দায়িত্ব পালন না করে কৌশলে নারীকে সহজলভ্য করে তোলা।
সমাজের ঐ শ্রেণীর পুরুষেরা এ কথা চিন্তাও করে না লিভটুগেদার করে একটি নারীকে ছেড়ে দিলে পরবর্তীতে ঐ নারীর পরিনতি কি হতে পারে!
উন্নত দেশের নারীদের মতো আমাদের দেশের নারীরা স্বাবলম্বী না।
পুরুষদের ভার্জিনিটির পরীক্ষা দিতে হয় না কিন্তু নারীকে তার সম্মুখীন হতে হয়। রোজগার করা নারীরা এখনো পরজীবি।
নারীদের জন্মের পর থেকে ত্যাগ শেখানো হয়, বোঝানো হয় তার সীমা ও পরিসীমা। এবং নারীকে এটাও মেনে নিতে প্রস্তুত করা হয় যে পুরুষ মাত্রই বহুগামী।
আধুনিক সমাজ ও সেকুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক তা আমিও চাই
কিন্তু তার মানে এই না যে আধুনিকতার ও মুক্তচিন্তার নাম করে অবাধে অস্বাস্থ্যকর নোংরা ভোগী চেতনার বশবর্তী হয়ে নারীদের ভক্ষণ করবেন।
স্থান কাল পাত্র ভেদে মানবিক ও চৌকস হওয়া বাঞ্ছনীয়
যাদের কাছে মন অপেক্ষা দেহ ভোগ প্রিয় তাদেরকে পশু ভিন্ন অন্য কিছু ভাবতে পারিনা।
যারা এ জাতীয় প্রাণী তাদের মুখে নারী স্বাধীনতা ও নারী জাগরণের বানী শুনতে কেমন লাগে?
নাস্তিক, আস্তিক, ধর্ম বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী নির্বিশেষে যে কোনো পেশার অধিকাংশ পুরুষ দৃষ্টি ও মানসিকতায় একতরফা ভোগবিলাসীতায় অভ্যস্ত
কে ভোগ করবে এবং কে উপভোগ করবে এটা একান্তই পুরুষই নির্ধারণ করবে এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে
**মাঝেমধ্যে রথের চাকা উল্টো ঘুরলে মন্দ হয় না😜
Leave a Reply