ত্রিপুরার সাহিত্যচর্চা এগিয়ে চলছে…
।।
বাংলাসাহিত্যের তৃতীয় রাজধানী ত্রিপুরা।ত্রিপুরার জনসংখ্যা বাংলাদেশ ও কলকাতার অনুপাতে কম।তার ওপরে রয়েছে আদিবাসী সমাজ।ককবরক ভাষার চর্চাও আছে সেখানে।তবে তাদের বর্ণমালা মৃত।ত্রিপুরাবাসীর সাহিত্যচর্চার আঙিক ও বিষয় বৈচিত্র্য অনেক প্রাগ্রসর।তাদের লেখার গতিপ্রকৃতি ও দরদ দেখে মনে হচ্ছে সংখ্যার দিক থেকে না হলেও মানের দিক থেকে ত্রিপুরা দ্বিতীয় পর্যায়ে চলে আসবে।তাহলে প্রথম কে থাকবে তা সহজবোধ্য নয়।এখনো মৌলিকত্ব নিয়ে কথা বলার জায়গা কলকাতা।বাংলাদেশ হচ্ছে…
।বাংলাদেশ অনেক সম্ভাবনাময় ছিল।কিন্তু ভাবধারার প্রাচীনত্ব,গতানুগতিকপ্রিয়তা এবং আবেগের গড্ডালিকায় গা ভাসিয়েছেন বাংলাদেশের কবিরা।তাই এখানে চানাচুর কবিতা ও ফুচকা কবিতার চাষ বেশি হচ্ছে।মৌলিকত্বের দিক থেকে এখন বিজ্ঞান কবিতা কলকাতা ও ত্রিপুরায় ক্রমাগত জনপ্রিয় হচ্ছে।দু’রাজ্যতেই বিজ্ঞান কবিতার সম্ভাবনা প্রাগ্রসরয়মান।কয়েকটি রাজ্য থেকেই পিএইচডি ও ডিলিট হবার তোড়জোড় চলছে।বাংলাদেশ সেখানে ঘুমিয়ে আছে।
বাংলাদেশে এখনো বড়ো প্রশ্ন কবিতায় আবার বিজ্ঞান কেন?কবিতাতো কবিতাই।কবিতা আবেগের বিষয়।
আবার কারো কারো কথায় কবিতা নিজেই বিজ্ঞান।কবিতায় আবার বিজ্ঞানের প্রয়োজন কেন?
তাই আমি লিখেছি ‘কবিতায় বিজ্ঞান অ-বিজ্ঞান’ গ্রন্থ।তাও প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা থেকে।
যদি তাতে গতানুগতিক কবিদের শুভবুদ্ধির উদয় হয় তবে ভালো…
হাসনাইন সাজ্জাদী
বিজ্ঞান কবিতা আন্দোলনের প্রবর্তক
বাংলাদেশ
…
Leave a Reply