শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন

বেনজিন রহস্য -মুশফিক বরাত

বেনজিন রহস্য -মুশফিক বরাত

*** বেনজিন রহস‍্য — মুশফিক বরাত ***

বেনজিন হলো প্রধান অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন। পৃথিবীর বিভিন্ন উৎস থেকে বেনজিন উৎপাদন করা যায়। যেমনঃ কয়লা, পেট্রোলিয়াম তেল ইত্যাদি। তাছাড়াও ল্যাবরেটরিতে সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বেনজিন উৎপাদন করা যায়।

লঘু তেলে বেনজিন, টলুইন, জাইলিন প্রভৃতি অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বনের মিশ্রণের সাথে অপদ্রব্য হিশেবে পিরিডিন, ফিনোল, অ্যানিলিন, থায়োফিন প্রভৃতি উপস্থিত থাকে। লঘু তেল থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপদ্রব্যসমূহ দূরীভূত করে বেনজিন, টলুইন ও জাইলিনের মিশ্রণ থেকে বেনজিন পৃথক করা হয়।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া যেমন কোল গ্যাস থেকে- আলকাতরা থেকে- লঘু তেল থেকে- বিশোধন প্রক্রিয়ায়- পেট্রোলিয়াম তেল থেকে- সংশ্লেষণ পদ্ধতিতে বেনজিন উৎপাদন করা হয়।

তাছাড়া পরীক্ষাগারে বেনজিন প্রস্তুত করা হয়।
রসায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পড়াশুনোর অংশ হলো বেনজিন। আমরা মনে করি, ভবিষ্যতে বেনজিনই রসায়নসহ বিজ্ঞানের সকল শাখা যেমন পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ইত্যাদিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছে। তাই এখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের সংগঠনের নাম রাখা হয়েছে “বেনজিন রিং সোসাইটি”- ইংরেজিতে যাকে বলা হয় “ Benzene Ring Society ”- এ সংগঠনটির জন্ম হয় ২০১৩ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। তারপরে বেশ কিছু কর্মসূচি দেয়া হয়।


আমরা সকলেই জানি যে, ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ষড়ঋতুগুলো হলো- গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। এদিক থেকে বলা যায় বাংলাদেশ পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর দেশ। বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা বেশ সহনশীল। মাত্র ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


বেনজিনের গঠন বেশ লোভনীয়। ছয়টি চক্র থাকে। ওদিকে পদার্থবিজ্ঞানে রয়েছে আদর্শ বস্তুর সূত্র। এটিও পদার্থ বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাছাড়া জীববিজ্ঞানের উদ্ভিদবিজ্ঞান শাখাতেও উদ্ভিদ কোষের গঠন মূলত ষড়ভুজাকৃতির।


শুধুমাত্র বিজ্ঞান দিয়ে তো সমাজ চলে না। মানুষের মুক্তির জন্য ব্যবহৃত না হলে বিজ্ঞানের গুরুত্ব কী ? তাই না!সেজন্যে বিজ্ঞানকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিশেবে ব্যবহার করতে হয়। সেজন্যে বিজ্ঞানের মূল ধারণা বেনজিনকে কীভাবে সমাজে ব্যবহার করতে হবে সেটাও দেখার বিষয়। বেনজিন ধারণা থেকেও বলতে হয়, মনুষ্য নির্মিত সমাজটাও ছয় চক্রের বিধানে পরিচালিত।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী সংগঠন নাসা। যাকে ইংরেজীতে বলা হয় National Aeronautics and Space Administration. ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত।

বেনজিন রিং সোসাইটির সিদ্ধান্ত হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পৃথিবীর সবচেয়ে অগ্রগামী সংগঠন নাসার মাধ্যমে বেনজিন রিং এর গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এবং মহাকাশ গবেষণায় সর্বাধিক মনোযোগ দেওয়া। কারণ ভবিষ্যতের পৃথিবী নিয়ন্ত্রিত হবে মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে।

এজন্যে বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণার সংগঠন SPARRSO- কে শক্তিশালী করা দরকার। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো হলো- পাঁচটি। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোকে পূরণের জন্য বিজ্ঞান গবেষণাকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা জরুরী। বাংলাদেশের Benzene Ring Society – এজন্যে বিজ্ঞান গবেষণাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD