সাহিত্যের অপ্রয়োজনীয়তা না বিজ্ঞানসাহিত্যতত্ত্ব?
হাসনাইন সাজ্জাদী
।।
রবীন্দ্রনাথ নাকি এরকম কিছু লিখেছেন ‘সাহিত্য অনেকাংশেই মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত।অনুকরণ এবং কল্পনা প্রসূত আমাদের সাহিত্য।’ফলে তা নকল এবং জনপ্রিয়।আসলের চেয়ে নকল নিয়ে কাজ করা সহজ।পরের ধনে পোদ্দারি যাকে বলে।মৌলিক বিষয় নিয়ে কাজ করা জটিল।তাই অন্যের অনুকরণ করে নাম কামানো সহজ।এদের বিজ্ঞানে এলার্জি।কারণ ঘরের দুর্গন্ধ তারা বেরোতে দিতে চায় না।বিজ্ঞানের আবিস্কৃত সত্যকে সাহিত্যতত্ত্ব হিসেবে গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যবিধি ও জীবন প্রনালী উন্নত হয়।একে সাহিত্যের বিজ্ঞানতত্ত্ব হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল বলে তারা ভ্যাংচি কাটে।কিন্তু তারাই আবার লোকসাহিত্যের ভুয়া তত্ত্ব নিয়ে জীবন বাজি রাখতে পারে।সুবিধাও আছে।জাতি লোকসাহিত্যের পঁচা মাল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসে।কবিতার ভাবকে ভাববাদের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলে।বাংলার ভাববাদী আন্দোলনকে কবিতার ভাবের সঙ্গে মিলায়।ভাববাদী কবিতা আর কবিতার ভাব,ভাষা ও বাণী যে, ভিন্ন জিনিস তা তাদের বোধগম্য হয় না।বিজ্ঞান কবিতা বা বিজ্ঞান সাহিত্যের মূল লক্ষ্য স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের অনুসরণ ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন।
লোকসাহিত্যের মূল লক্ষ্য অতীত কপচিয়ে দায়সারা সাহিত্য করে সহজে নাম কামানো।হচ্ছেও তাই।আমাদের সমাজ বিজ্ঞান সাহিত্যের কথা বললে নানা বিতর্ক করবে আর পঁচা মাল নিয়ে জানবাজি করবে।ঐতিহ্য ঐতিহ্য বলে জীবন দিবে।কিন্তু জীবন বাঁচাতে ও জীবন সাজাতে যে বিজ্ঞানের দ্বারস্থ আমরা তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকবে।একেই বলে সাহিত্যের অপ্রয়োজনীয় অংশে বসে থাকা বা অপ্রয়োজনীয়তায় তুলকালাম কান্ড ঘটানো …
Leave a Reply