সম্প্রীতি চর্চায় এগিয়ে ভারত
-হাসনাইন সাজ্জাদী
।।
আমার সৌভাগ্য যে,গড়ে দু’মাসে একবার ভারত যাবার সুযোগ আমার হয়।ভারত বাংলাদেশ উৎসবগুলোর অধিকাংশই আমাকে আমন্ত্রণ জানায় এবং পথ খরচ ও লোকাল হসপিটালিটি দেন।যারা পথ খরচ দিতে পারেন না তারা লোকাল হসপিটালিটি দেন।এটা মূখ্য নয়।গত ১ সপ্তাহ তিনটি আয়োজনে উপস্থিত থেকে ফিরে আসতে হল অনিবার্য কারনে।আগামী কাল থেকে তিন দিনের আয়োজন গড়িয়ার ইন্দুমতী সভাগৃহে “রাইটার্স ওয়ার্ল্ড সাহিত্য উৎসব”।যার সভাপতি কবি ও নারী নেত্রী সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য এবং তিনি আমাদের সিলেটি বৌদি।তার একান্ত আগ্রহ ছিলো আমি উপস্থিত থাকি এবং উৎসব আহ্বায়ক শ্রদ্ধেয় সৈয়দ হাসমত জালাল ভাই।যার নাম শুনলে আমার আর ভাবনার কিছু থাকে না।
কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারি ফিরার পর আর আজ নতুন করে যাবার সুযোগ নেই।আক্ষেপ হলেও ভবিষ্যতে যাবার আগ্রহ রাখি।
আলোচনার বিষয় সম্প্রীতি চর্চা নিয়ে।সেখানকার ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য উৎসবগুলোতে হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতি রক্ষা,কাঁটাতারে বাঙালি হৃদয় ভাঙেনি বলে যে প্রত্যয় ঘোষণা,আলোবাতাসের অবাধ চলাচলের মতো বাঙালির অবাধ চলাচলের অধিকার দাবি,গঙ্গার পানি পদ্মার পানিতে ভেদাভেদ নেই বলে উচ্ছ্বসিত থাকার যে বিষয় বাংলাদেশে তা অনুপস্থিত।প্রতিটি গান,আলেখ্য,গীতিনাট্য,নৃত্য,ভাষণ ও কবিতায় তা এতটা স্পষ্ট যে প্রকৃত অর্থেই সেখানে মানবিক মন খোঁজে পাওয়া যায়।যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দূর্লভ।
বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানদের কাজ এ ক্ষেত্রে দায়সারা গোছের।যা ভারতের আয়োজনগুলো না দেখলে তা অনুভব করা যাবে না।এ জন্যেই আমি বলি আমাদের কবি সাহিত্যিকদের ঘনঘন ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে যাওয়া উচিত।
Leave a Reply