বিশ্বাসের ধারণা থেকে
এক শ্রেণির বিশ্বাসী মানুষ আছেন, তারা মনে করেন তাদের বিশ্বাসের গ্রন্থ থেকে ধারণা চুরি করে জ্ঞান বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির সব কিছু করা হইছে।
তারা মনে করেন, মহাভারতের রথের আইডিয়া থেকে নাসা মহাকাশযান বানিয়েছে। ইন্টারনেটের ধারণা সত্যযুগেও ছিল।
পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে বলায় এরা গ্যালেলিওকে তাদের ধর্মবিজ্ঞান বিরোধী বলে হত্যাও করেছিল।
আর এক শ্রেণির মুসলমানরা তো আরও কয়েককাঠি সরেস। সুবহানআল্লাহ তরিকার লোকের কথাবাত্তি শুনলেই টের পাবেন। এরা করোনার বীজগাণিতিক সূত্রও জানে। চলন্ত বিমানের পিঠে আসমানে বসে লুঙ্গি পরে নামায আদায়ের ফটোশপ এরা শেয়ার করে। হাজার হাজার ভক্তসমাজ শুকরিয়া আদায় করে।
এই মেঠো বিশ্বাসীদের নিয়া তর্ক করার মানে নাই।
সম্প্রতি এক শিক্ষা মৌলবী ফতোয়া দিছেন, দুনিয়ার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা নাকি মাদ্রাসা শিক্ষা থাইকা আসছে!
তো সেই মৌলবীরে জিকায়েন, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কবে গড়ে তোলা হয়েছিল? লাইসিয়াম কবে হইছিল?
আর বেশি না, খ্রিস্ট জন্মের আশেপাশের সময়ের হইলেও একটা মাদ্রাসার নাম অন্তত বলতে বলেন।
মেঠো মৌলবীর দলের আধুনিক হুজুর।
Leave a Reply