বাবার স্মরণে/
( সকল বাবার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি )
ফজরের আযান হলে এখন আর ডাকে না কেউ বাবার মতো-
উঠো খোকা মসজিদে যাবে।
শীতের সকাল উঠতে চাইতো না অলস মন,
মন চায় যে আরও কিছুক্ষণ ঘুমোতে ।
অবশেষে বাবার কড়া ডাকে নকশীকাঁথা ছেড়ে
চলে যেতাম মসজিদে বাবার সাথে।
একদিন সুবেহসাদেকে এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে
বাবা চলে গেলেন পরপারে আমাদের কাঁদিয়ে,
তসবি জায়নামাজ আর টুপি আজও রেখেছি সযতনে ভক্তি ভরে।
এখন আর ডাকে না কেউ বাবার মতো উঠো খোকা মসজিদে যাবে,
ডাকতে হয় না আর আমায়-
আসসালাতু খাইরুম মিনান্নাউম -আজানের ধবনিতে
ঘুম ভেঙ্গে যায় সাথে সাথে।
কত স্মৃতি কত কথা যা ছিল আদর মাখা
বার বার মনে পড়ে, বাবাহীন এ জীবনে
এখন শুধুই স্মৃতি বড় একা , -একা একা লাগে।
বাবা ছিল-
ঝড়ের রাতে -ঝড় থামানো আযানের ঐ সুউচ্চ পবিত্র ধবনী,
বাবা ছিল- ডুবে যাওয়া ছোট্ট শিশুকে এক ডুবে তুলে আনা ফায়ার সার্ভিসের উদ্বারকর্মী।
বাবা ছিল-মেলায় কেনা নীল আকাশে উড়ে বেড়ানো রঙিন ঘুড়ি,
বাবা ছিল- জীবনযুদ্বে ক্লান্ত শরীরে নদীর তটে বটের ছবি।
বাবা ছিল- গ্রামের হাটে কিনে আনা ঈদের দিনের লাল জামাটি,
বাবা ছিল- মাসের শেষে ভার্সিটির ঐ হলে থাকা আমার মতো হাজার ছেলের মাসোহারা।
বাবা ছিল-আমার চোখে পৃথিবীর এক সেরা বাবা।
ফেলে আসা ঐ কল্পরাজ্যে এখন শুধু খুজিঁ তাঁকে,
-হে খোদা বেহেশত নসীব করো তুমি বাবার সাথে সব বাবাকে।
Leave a Reply