পুঁথি-সাহিত্য ব্যাপক চর্চা ও গবেষণা প্রয়োজন।
পুঁথি-সাহিত্য আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। এমন এক সময় ছিল যখন ঘরে ঘরে ছিল পুঁথি। দিনের আলো নিভে গেলেই কুপি জ্বালিয়ে শুরু হত পুঁথি-পাঠ। পুঁথি-পাঠককে ঘিরে সকলেই জড়ো হতেন এবং মনোযোগ সহকারে শুনতেন। প্রাচীনকালে মূলত প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষেরাই ছিল পুঁথি অনুরাগী। তাদের লেখাপড়া বা ভাবনা-চিন্তার পরিধি আটপৌরে হলেও অন্যরা যে একে অবহেলা করতো, তা কিন্তু নয়। সেকালে পুঁথি ছিল সার্বজনীন।অতীত বর্তমানের সেতু-বন্ধনের প্রয়োজনে, আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির উৎসমুখের খোঁজে, আমাদের শিকড়ের সন্ধানে ধূলিমলিন আস্তরণ থেকে এসব খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে এসব পুঁথির সংরক্ষণ, আরো পুঁথি সংগ্রহ এবং পুঁথির ব্যাপক চর্চা ও গবেষণা প্রয়োজন।
কাকন ফকির ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত দেশবরেণ্য পুঁথিশিল্পী এতেন্স শাওন এর সম্মানে মতবিনিময় ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।গত (২০ শে জুন ২০২৩) মংগলবার সিলেটের স্থানীয় এক অভিজাত হোটেলে কাকন ফকির ফাউন্ডেশনর ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সুমনের সভাপতিত্বে ও তরুণ সাংবাদিক কবি জালাল জয় এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাকন ফকির ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারী দেলওয়ার হোসাইন,সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন লেখক প্রকাশক ও সংগঠন বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জানালা ৭১ টিভির পরিচালক
ইকবাল আহমদ,আইডিয়াল ভিলেজ ফোরাম এন্ড আইডিয়াল ভিলেজ ইয়ুথ সোসাইটির সভাপতি মোজাক্কির হোসন ,আইডিয়াল ভিলেজ ইয়ুথ সোসাইটির, সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান, এম এস এ মাসুম খান, সুহেল আহমদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কাকন ফকির ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্য শিল্পী গোলাম হায়দার রুবেল,ও টিটু দেব প্রমুখ।
কাকন ফকির ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে দেশবরেণ্য পুঁথিশিল্পী এতেন্স শাওন কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ।
Leave a Reply