যা নেই সিলেটে তা নেই ভূ-ভাগে
আসুন ‘সিলেটসূর্য’ পদকের প্রচলন করি
হাসনাইন সাজ্জাদী
।।
বলা হয় ‘সিলেটে মধ্যমা নাস্তি’।উত্তম হবে না হলে থাকবে না-এটাই সিলেট।প্রাকৃতিক সবই সিলেটে আছে।আছে পৃথিবীর আদি সয়েল বা মাটি পাথারিয়া পাহাড়ে।আছে সেখানে হাজার হাজার বনৌষধি বৃক্ষ।আছে একই স্থানে তেলের খনি।আছে ইউরেনিয়াম সাগরনালের ষাঢ়েরগজ পাহাড়ে।আছে এখানেই প্রাচীন চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাটির তলে লুকিয়ে।আরো আছে গ্যাস হরিপুরে,হবিগঞ্জে।চুনামাটি আছে ছাতকে।
শত শত মনীষীর জন্ম হয়েছে সিলেটে।হাছন রাজা,আরকুম শাহ,রাধারমন,দইখুরা,শাহনূর,শাহ ইয়াছিন,আমির সাধু,আশরাফ হোসেন সাহিত্যরত্ন,চৌধুরী গোলাম আকবর সাহিত্যভূষন,মুন্সি ছাদেক আলী,গোলাম হুসেন,শাহ আবদুল করিম,সৈয়দ সুলতান,মহাপ্রভূ চৈতন্য দেব(নিমাই সন্ন্যাসী),ড. গুরুসদয় দত্ত,ড.গোবিন্দ দাস,দেওয়ান মো.আজরফ,সৈয়দ মুজতবা আলী,সৈয়দ আলতাফ হোসেন,বিপ্লবী লীলা নাগ,দেওয়ান আব্দুল মজিদ,সালারই সুবা সৈয়দ বদরুল হোসেন,আব্দুর রহমান সিংকাপনী,নূরুল হক দশঘরী,ফজলুল হক সেলবর্ষী,জেনারেল এম এ জি ওসমানী,দেওয়ান ফরিদ গাজী,আব্দুস সামাদ আজাদ,হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী,শাহ এ এস এম কিবরিয়া,এম সাইফুর রহমান,আবুল মাল আব্দুল মুহিত,বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম এমন শত শত মনীষী সিলেটকে করেছেন গৌরবোজ্জ্বল।সিলেট বিভাগের মাটি ও মানুষ জন্ম দিয়েছে এসকল সূর্য সন্তানদের।সিলেটের আলাদা ভাষা,সাহিত্য ও বর্ণমালা রয়েছে।উল্লেখ্য যে,যাকে বর্তমানে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছেন গবেষক মোস্তাফা সেলিম।আমি নিজেও বিজ্ঞান কবিতার প্রবর্তন করে বিশ্বসাহিত্যকে করেছি বিজ্ঞানউন্মুখ।বৈষ্ণব সাহিত্যের প্রচলক মহাপ্রভূ চৈতন্য দেব,মরমি দর্শনের প্রচলক হাছন রাজা,সিলেট নাগরীলিপির চর্চাকারী গোলাম হোসেন ও মুন্সি ছাদিক আলী,ব্রতচারী আন্দোলনের প্রবর্তক ড.গুরুসদয় দত্ত,আন্তর্জাতিক লোকসাহিত্য গবেষক আশরাফ হোসেন সাহিত্যরত্ন,রম্যসাহিত্যের প্রচলক সৈয়দ মুজতবা আলী,ইসলামি দর্শনের প্রচলক দেওয়ান মো.আজরফ এবং লোকসংস্কৃতি ও ভাষাসংগ্রামী আমির সাধুর প্রমুখদের কথা ভুলে গেলে চলবে না।
উল্লেখিত ও উল্লেখযোগ্য অন্তত ৫জনের নামে ৫টি ‘সিলেটসূর্য’পদক প্রবর্তনের আহবান জানাচ্ছি সিলেট জেলা প্রশাসন অথবা সিলেট সিটিকর্পোরেশন-এর প্রতি।
পদকগুলো লাভ করবেন তাদের উত্তরাধিকার যারা ভাষাসাহিত্য,সংস্কৃতি সাংবাদিকতা ও জ্ঞানবিজ্ঞানের নানা শাখায় এখন উজ্জ্বল উপস্থিতি বজায় রেখে চলেছেন তারা।আসুন এ আন্দোলন জোরদার করি।বিলম্ব হলে ক্ষুদ্র পরিসরে এ বৃহৎ কর্মটি সম্পাদন করার দায়িত্ব নিতে চায় ‘সিলেট বিভাগীয় পরিষদ’।
যাত্রা ও কর্ম শুভ হোক সিলেট বিভাগীয় পরিষদের …
Leave a Reply