যুক্তরাজ্য ও রাশিয়াসহ ইউরোপে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়মিত বাড়ছে । যুক্তরাজ্যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট Delta AY.4.2 কে Variant of Interest (VOI) হিসাবে তলিকা ভুক্ত করা হয়েছ। Delta AY.4.2’র সংক্রামণশীলতা (transmissibility) অনেক বেশি, তার ধ্বংসকারী (infectivity) ক্ষমতা এখন জানা যায়নি। যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন পঞ্চাশ হাজার নাগরিক বর্তমানে নতুন করে কোভিড১৯’এ আক্রান্ত হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আহমদ পারভেজ জাবীন পূর্বপরকে বলেন, গত এক সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসে জনগণ বেশ আক্রান্ত হয়েছে। ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে কোভিড১৯’এ আক্রান্তের মধ্যে ৭ থেকে ৮ শতাংশ Delta AY4.2 দ্বারা সংক্রামিত হয়েছে, নতুন এ প্রজাতির ডেল্টা ভাইরাসের কারণে কত শতাংশ মৃত্যু্বরণ কেরছে তা এখনেআমাদের অজানা, তাই আমরা আতঙ্কিত । তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে আগত সকল যাত্রীকে কোভিড১৯ ‘র ছাড়পত্র ভালোভাবে পরীক্ষার পর পরিবার ও কর্মক্ষত্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক, প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইনে রাখা যেতে পারে।
তাঁর মতে টিকার কোন বিকল্প নেই, টিকাও দেশে আছে। টিকার সাহায্যে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরী করে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়া দরকার। ফলে কোভিড ১৯ হওয়ার সম্ভাবনা, কোভিড নিউমোনিয়ার তীব্রতা ও মৃত্যু হ্রাস পাবে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে আশি শতাংশের (৮০%) টিকাকরণের কাজটি সম্পন্ন করা প্রয়োজন। একই সাথে, ঘরের বাহিরে বের হলে মাস্ক পড়া, ১.৮ মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিয়মিত বিরতিতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া (হাত সেনেটাইজ করা), জনসমাগম এড়িয়ে চলা, বদ্ধ ঘরে সকলে মিলে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান না করা জনম্বাস্থ্য বিধি মানা প্রয়োজন।
সঠিকভাবে কাজগুলো করলে নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য সংক্রামণের নতুন ঢেউ তৈরী হবে না, নতুন করে কোভিড ১৯ ঝুকি ও মৃত্যু (morbidity ও mortality) কমবে।
Leave a Reply