বাঙালি মেয়েটি মেডিক্যাল সাইন্সে স্কলারশিপে চার বছর ব্যাচেলর করলো ফ্রি-তে। তারপর চার বছর মেড-স্কুলে গেলো লোন নিয়ে। তারপর আরো চার বছর রেসিডেন্সি করলো ফ্রি-তে, যার খরচ বহন করলো হাসপাতাল। এখন মেয়েটা নিউইয়র্কের সর্বোত্তম বিশ্বস্ত হাসপাতাল মাউন সিনাইতে ডাক্তার হিসাবে আছে এবং নিউরোলোজিস্ট হতে ফেলোশিপ করছে।
সে আমার আমেরিকান নিউরোলোজিস্ট এর সাথে আজ সহযোগী হয়ে আমাকে অনেকগুলো নার্ভ ও মাসলের পরীক্ষা করলো। সারা শরীরের নার্ভে ইলেক্ট্রিক শকের মত একটা কিছু দিলো। আর সুই দিয়ে কম হলেও ৪৩টা ছিদ্র করলো শরীরের মাংসে মাইয়োপ্যাথির পরীক্ষা করতে। সময় লাগলো ২ ঘন্টা।
পরীক্ষাগুলো পেইনফুল ছিলো। নার্ভে শক দেবার সময় আমেরিকার কারাগারে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে বসিয়ে মৃত্যু দেয়া আসামিদের দৃশ্যটা চোখে ভাসতে লাগলো।
বাঙালি মেয়েটি আর মাত্র চার মাস পর অফিসিয়ালি মাউন সিনাই এর একজন নিউরোলোজিস্ট/বিশেষজ্ঞ হয়ে যাবে।
তার সাথে আমি দুই ঘন্টা কথা বলেছি পরীক্ষা চলাকালীন। অনেক জরুরি তথ্য, কথা, আলোচনা হলো।
সব থেকে অবাক হলাম এই দেখে যে, এতো ব্রিলিয়ান্ট একটা মেয়ে ডাক্তার হলো, এবং আরো উপরে যেতে বিশেষজ্ঞ হতে এখনো পড়ছে, কাজ করছে, কিন্তু তার মধ্যে বিন্দুমাত্র অহংবোধ দেখিনি।
মেয়েটা বাংলাদেশে কলেজ সম্পন্ন করে এদেশে এসেছিলো।
মন থেকে দোয়া মেয়ে।
আমাদের বাঙালিরা আরো এগিয়ে যাক ❤️🙏
Leave a Reply