শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন

ক্যান্সার রোগীর সাহায্যার্থে পোস্ট-মানবিক কারণে এগিয়ে আসুন

ক্যান্সার রোগীর সাহায্যার্থে পোস্ট-মানবিক কারণে এগিয়ে আসুন

ক্যান্সার রোগীর সাহায্যার্থে পোস্ট।মানবিক কারণে এগিয়ে আসুন। রুগীর নাম।নুরুজ্জামান রিদয়।লেখক -মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান
…………………………………………..
একটি ব্যথিত গোলাপের আর্তনাদ এবং তার বাঁচার আকুতি


……………………………………………………যে শিশুটির জন্মের ২ বছরের মাথায় তার- মাকে ফেলে বাবা আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়;

যে শিশুটির ৫ বছর বয়সে তার মা উপেক্ষা-
আর অভাবের যন্ত্রণার অবসান ঘটিয়ে পরপারে চলে যায়;
সে শিশুটি আজ ২৫ বছরের প্রদীপ্ত যুবক।
৫ থেকে ২৫। এটুকু সময়ে খালার তত্ত্বাবধানে
জীবনসংগ্রামের প্রতিটি বাধা সে অতিক্রম করেছে
পরিপূর্ণ প্রত্যয়ে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, বাধা-বিপত্তির
মুখেও হার না মানা অদম্য সাহসে হেঁটেছে-
অনিশ্চিত জীবনের পথে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের
গরল গণ্ডি পেরুনোর পর স্বপ্ন দেখেছে-
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সোনালি ভবিষ্যত নির্মাণের প্রস্তুতি নিতে।

এরই মধ্যে দুটি বোনের দায়িত্বও এসে চেপেছে তার কাঁধে।
নিজের এবং বোনদের জীবিকা নির্বাহে-
উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নকে বুকপকেটে চাপা দিয়ে
হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে অর্থ উপার্জনের পথ।
সততা, নিষ্ঠা এবং একাগ্রতার কারণে-
একসময় পেয়েও যায় সে পথ। ছোট্ট একটি-
গেঞ্জি তৈরির কারখানায় মাত্র ১২ হাজার টাকা
বেতনের বিনিময়ে কাজে লেগে যায় সে।
ঢাকা শহরে থাকার জন্য আশ্রয় মিলে কায়ক্লেশে-
সংসার চালানো মামার পরিবারে। বর্তমান-
দুর্মূল্যের বাজারে ১২ হাজার টাকা তেমনকিছু
না-হলেও খাদের কিনারে এটি তার ভরসার ছাদ।
অভাবের স্রোতের মুখে বালির অশক্ত একটি বাঁধ।
নিরাশার মধ্যে আশার ক্ষীণ আলো যখন-
জ্বলতে শুরু করে ঠিক তখন
আচমকা একটি দমকা হাওয়া মোমের শিখার মতো
ধুপ করে নিভিয়ে দিয়ে যায় সে আলোটুকু।

মাত্র ৩ দিনের জ্বর আর খুসখুসে কাশির অশুভ লক্ষণ নিয়ে করোনা সন্দেহে
ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় সে। করোনা পরীক্ষায়-
নেগেটিভ রেজাল্ট এলেও নানাবিধ টেস্টের পর
জানা গেলো ফুসফুসে পানি জমেছে এবং টিউমার হয়েছে।
অধিকতর টেস্টের পর যেটা জানা গেলো
তাতে সবার মাথায় বিনামেঘে বজ্রের আঘাতে হতবাক করে দিলো।
কেননা, এর আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে,
ক্রিকেট প্রেমি এই টগবগে ও দুরন্ত যুবকের শরীরে
বাসা বেঁধেছে লিম্ফোমা নামের মারণব্যাধি ক্যান্সার।

ক্যান্সার ধরা পড়ার পর ১০ এপ্রিল ২০২১ হতে
সে আমার সাথেই আছে। খালু হিসেবে-
আমার সামর্থের মধ্যে যতটুকু সম্ভব করতে-
পারলেও ক্যান্সারের পুরো চিকিৎসা চালিয়ে নেয়া
আমার মতো ছাপোষা কেরানির পক্ষে পুরোপুরি অসাধ্য।
এরই মধ্যে খরচ হয়ে গেছে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের-
কাছ থেকে পাওয়া প্রায় লক্ষাধিক টাকা।
সাভার এটমিক এনার্জি গবেষণা কেন্দ্রে-
পাঠানো হয়েছে PET cityscan (positron emission tomography)
টেস্টের জন্য; যার খরচ ৩১ হাজার টাকা। টাকার অভাবে করা যায়নি PET scan টেস্ট।
এদিকে সময় ক্ষেপণের কারণে ফুসফুসে পানির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং সাফোকেশন শুরু হয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেন কেমোর আগে অপারেশন
করে পানি বের করার। গত ২২ জুন তাকে ভর্তি করা হয় মিরপুর-১ ডেল্টা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে। ২৩ তারিখ অপারেশন করে ফুসফুসে
নল ডুকিয়ে পানি বের করা হয়। ২৪ জুন শুরু হয় কেমো থেরাপির প্রথম ডোজ। কেমোর সাথে সাপোর্টিভ ওষুধ। সেইসাথে নানান টেস্ট। হাসপাতাল খরচ বাদে অপারেশন চার্জ, সাপোর্টিভ ওষুধ ও কেমোর একটি ডোজ সম্পন্ন করতে খরচ হয়ে গেছে আরো প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
বিভিন্ন জনের দানে অনুদানে এ পর্যন্ত করা গেলেও কেমোর আরো ৫টি ডোজ এবং হাসপাতাল ও ডাক্তার খরচের টাকার যোগান এখনও অনিশ্চিত।
হাসপাতালের সিট ভাড়া, ডাক্তারের ভিজিট, এবং কেমো থেরাপির খরচের অভাবে হয়তো
দেখতে হবে অচিরেই ঝরে গেছে একটি-
তাজা গোলাপ এবং দেখতে হবে একটি-
সংগ্রাম এবং সম্ভাবনার অপমৃত্যু।

একটি ব্যথিত গোলাপের আর্তনাদ এবং তার-
বাঁচার আকুতি যদি কোনো হৃদয়বান ব্যাক্তির কানে পৌঁছে
তাহলে তাকে সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন।
প্রসারিত করতে পারেন মানবিক হৃদয়ের চৌহদ্দি।
নিজের আস্তিনে ভরে নিতে পারেন পরম করুণাময়ের সাহায্য।
কেননা, যে ব্যাক্তি কোনো বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করে,
মহান আল্লাহ নিজে তাকে সাহায্য করেন।
মহান আল্লাহর কৃপায় আপনার সামান্য সাহায্য
রোধ করতে পারে একটি স্বপ্নের অকালমৃত্যু।
বন্ধ করতে পারে একটি ব্যথিত গোলাপের-
করুণ আর্তনাদ। ফিরিয়ে দিতে পারে একজন সম্ভাবনাময় তরুণের জীবন।

করোনা মহামারিতে কেউই ভালো নেই জানি। তবুও জীবনের অপ্রত্যাশিত মুহূর্ত মোকাবেলায় দেশবাসীর দ্বারস্থ হলাম নিতান্ত অনন্যোপায় হয়ে।

এমন অনেকেই আছেন যারা হয়তো এরকম অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। কেউ হয়তো টাকা খরচ করেও আপন মানুষটাকে বাঁচাতে পারেননি। জীবন-মৃত্যু সবই আল্লাহর হাতে। আমিও জানি না টাকা খরচ করে ওকে বাঁচাতে পারবো কিনা। কিন্তু চিকিৎসা ছাড়া কিভাবে চোখের সামনে একটি জলজ্যান্ত জীবনের ঝরে পড়া দেখি! কিভাবে চেষ্টা ছাড়া চিকিৎসা ছাড়া মরতে দিই একটি মানুষ! সবাই তো চায় তার সর্বশেষ চেষ্টা ও সামর্থটুকু দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে। হয়তো আপনাদের দোয়া ও সাহায্যের উসিলায় আল্লাহ তায়ালা তাকে হায়াত দান করতে পারেন। আপনাদের সবার এই ছোট্ট অনুদানেই হয়তো আবার স্বপ্ন দেখার সাহস পাবে এক স্বপ্নাহত সারস।

তাকে সাহায্যের জন্য যে কেউ চাইলে আমার সাথে
ব্যাক্তিগতভাবে যোগাযোগ করতে পারেন
অথবা বিকাশ করতে পারেন ০১৮১৮৩১৮৩১১ নম্বরে। এটি আমার ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর।
আর হ্যাঁ, আর্থিক সাহায্যের সামর্থ কারো না থাকলেও
দোয়া করার পাশাপাশি পোস্টটি আপনার ওয়ালে
শেয়ার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইলো।

মহান আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন সকল প্রকার অনিষ্টতা থেকে।
আমিন।

মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান
কবি, ছড়াকার, গীতিকার ও সম্পাদক
আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭।
২৮-০৬-২০২১

সাহায্যের জন্য যোগাযোগ:
বিকাশ : 01608593982
রকেট : 016085939820
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার: সোনালি ব্যাংক লিমিটেড(4423034028123)

চিকিৎসার স্থান: ২২ জুন থেকে রুগী আছে- বেড ৭, রুম ৩০০১, মেল ওয়ার্ড, হেমাটোলজি বিভাগ, নতুন বিল্ডিং, ডেলটা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, দারুসসালাম রোড, মিরপুর-১
তত্ত্বাবধানে: ডা. আমিন লুৎফুল কবীর
হেমাটোলজিস্ট
এসোসিয়েট প্রফেসর, বিএসএমএমইউ (পিজি হাসপাতাল)
ডা. রাজীব
থোরাসিক সার্জন
এসোসিয়েট প্রফেসর।
প্রফেসর ডা. কাজী মঞ্জুর কাদের
অনকোলজিস্ট, ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD