কুয়াশা বন্ধনা
আমি গ্রামের ছেলে কুয়াশায় বেড়ে উঠেছি আমি
দেখেছি কুয়াশার বাহারি খেলা
শীতের কুয়াশাচ্ছ্বন্ন গ্রামকে আসলে রূপালি মাঠের মত দেখাতো
তৃনলতায় দুর্বাঘাসে কিংবা ধানক্ষেত এমনকি কচুপাতার কুয়াশা ছিল দেখার মত
কখনো এত গাঢ় কুয়াশা পড়তে দেখেছি
হাত বাড়ালে ছুঁয়া যায় যে মানুষ এমন নাগালের মানুষকেও দেখা যেত না|
কুয়াশার ভেতর দিয়ে চলতে গেলে ঠাণ্ডাবোধ হত নাক বন্ধ হয়ে আসতো
তবুও কুয়াশায় ঘুরেছি বীরের বেশে কাজে অকাজে
যেনো লড়ছি তার সাথে দৃশ্যত অদৃশ্যে!
গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসেছি সেই কবে হাতের কড়া গুনে তেত্রিশ বছর
এখন আর গ্রামে গেলে যাই একদিন দুদিনের জন্য
তবে তাও
কুয়াশাপড়া শীতে নয়
শীতে ভয় লেগে আছে
তাই গরমকালে যাই|
ঢাকায় আছি তাই কুয়াশা দেখি না
ঢাকায় প্রাকৃতিক কুয়াশা কই
আছে হালকা ধুলোমাখা আর সীসা জড়ানো জলের স্প্রে|
হায় ভালোবাসার কুয়াশা!
অতীত স্মৃতিগুলো আমার খুব সুখকর নয়ইতো
কুয়াশা এমনি এক স্মৃতির বেড়াজাল
যা আমাকে শীত এলেই কাঁদায়…
[ উষ্ণতাহীন মানুষ ও পৃথিবীকেন্দ্রে গোলযোগ- হাসনাইন সাজ্জাদী ]
Leave a Reply