রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

অনুন্নত চিন্তার লেখকদের পিছুটান -হাসনাইন সাজ্জাদী

আমার দেখা আমার লেখা -১৪।।
-হাসনাইন সাজ্জাদী

মানুষ বদলায় না
।।

‘কয়লা সাদা হয় না ধুইলে
খাছলত যায়না মইলে’
এটি একটি সিলেটি প্রবাদ।অর্থ না বুঝলেও ভাবার্থ বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়।মানুষ মরলেও তাদের অভ্যাস যাবে না।যেমন কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না বা সাদা হয় না।গতানুগতিক লেখক সাহিত্যিকদের আমি বিজ্ঞানের তত্ত্ব উপাত্ত সরবরাহ করে দেখেছি তাদের বিজ্ঞানমনস্ক করা যায় না।একজন বুর্জোয়া লেখককে মার্ক্সবাদী বানানো যায় না।এটা আমার অভিজ্ঞতা।আমি মার্ক্সবাদী নই।বিজ্ঞানবাদী আমি।’ছোটদের বিজ্ঞানবাদ’ ও ‘বিজ্ঞানবাদের কাব্যতত্ত্ব’ যার পড়েছেন তারা জানেন আমার চিন্তা।তবুও অনেকে আমাকে মার্ক্সবাদী মনে করে শুনিয়ে শুনিয়ে মার্ক্সিজমের সমালোচনা করেন।বুর্জোয়া ভাবধারার দেউলিয়া সাহিত্যতত্ত্ব থেকে মার্ক্সবাদ হাজার গুণে উত্তম।
আমি বিজ্ঞানবাদ ও বিজ্ঞানবাদের কাব্যতত্ত্ব সহ আমার বিজ্ঞান কবিতার বই অনেককেই দিয়েছি।তারা পড়ে আমার প্রশংসা করেন।কিন্তু দু’লাইন লেখেন না।আমি প্রথমে ভাবতাম আমার লেখা বোধহয় হচ্ছে না কিংবা আমি বোঝাতে অক্ষম হয়েছি।কিন্তু পরক্ষণে দেখলাম না আমার লেখা পড়ে বোঝার মত জ্ঞান মা প্রকৃতি তাদের দেয়নি।
এটা বলতে আমি কেনো দুঃসাহসী হচ্ছি বলি।আমি তাদের সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা বা লেখা পড়ে দেখলাম তারা অনেক পুরনো কোনো লেখাকে কপি করে লিখে চলেছেন অথবা সে রকম লেখা পড়ে আলোচনা চালাচ্ছেন।যা কী না গতানুগতিক ও সহজ সরল।অনেক আগে থেকে যে আলোচনা চলে আসছে তারা তাই লিখছেন বা বলছেন।
ধরুন তারা সনেট,হাইকু নিয়ে অনেক গবেষণা করছেন।বেশি প্রাগ্রসর হলে তারা গীতিকবিতা নিয়ে ব্যস্ত হচ্ছেন।কয়েকজন হয়তো আধুনিক কবিতা নিয়ে থিতু হয়ে পড়েছেন।উত্তর আধুনিক কবিতা কিংবা উত্তর ঔপনিবেশিক কবিতার বিষয়ে তারা চুপচাপ।আবার দু-এক জন এসব লিখছেন দাবি করলেও আধুনিক কবিতার বাইরে তারা লেখালেখি কিংবা বলাবলির জ্ঞান রাখেন না।তার পরেও যে বিজ্ঞান কবিতা নিয়ে আমি দেশে বিদেশে অনেক কাজ করেছি।আমার বিজ্ঞান কবিতার কাজ নিয়ে অনেকেই রিসার্চ করছেন তা তাদের বোধের অতীত।
আমি লিখছি আমার দায় থেকে।কবিতার বাঁকবদলে বিজ্ঞান কবিতার বাইরে গত ষাট দশক থেকে আর কোনো কাজ যে হয়নি এটা এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
কিন্তু আমার কিছু কথিত গবেষক ও গতানুগতিক দেউলিয়া লেখক বিষয়টি বোঝতে পারছেন না।তা ছাড়া কবিদের মধ্যে যারা এখন আমার আন্দোলনের প্রভাবে বিজ্ঞান কবিতা লিখছেন তারাও তা স্বীকার করতে হীনতা ছাড়তে পারেন না।আমি যা মুখ দিয়ে বলেছি,তা আন্দোলনে রূপ দিয়েছি।আন্দোলন এখন বাংলাসাহিত্যে অনাবিল বাস্তব সম্মত হয়ে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে।
চলার পথে আমি হতাশ নই,যদিও কয়েক জন গবেষকের কবিতা না বুঝে-ও বোঝার ভান করা এবং বিজ্ঞান কবিতার সঙ্গে নির্বোধের মত দ্বিমত পোষণ করার মধ্যে পাণ্ডিত্য প্রকাশের প্রবণতা আমাকে হতাশ করতে চায়।আমি হতাশ হই না।কারণ আমি জানি ইতিহাসে বিজ্ঞান কবিতার বিরোধিতার জন্যে তাদের নাম গন্ধ খোঁজে পাওয়া যাবে না।কিন্তু বিজ্ঞান কবিতার আন্দোলন করার জন্য আমাকে আলোচনায় রাখতেই হবে।ঔদ্ধত্যের সঙ্গে বলছি মনে হলেও আসলে তাই বাস্তবতা।…

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD