জন্ম আলোকিত সিলেট বিভাগে তাই কর্মে করি আলোর অনুসন্ধান
-হাসনাইন সাজ্জাদী
।।
আমার ৬০ তম জন্মোৎসব পালিত হয়েছিল গত বছর ১ মার্চ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে।আমাকে নিয়ে নিয়ে সেবার “বাংলাসাহিত্যের প্রধান ‘বিজ্ঞানকবি হাসনাইন সাজ্জাদী’র ষাটতম জন্মোৎসব স্মারক” প্রকাশিত হয়েছিল।সম্পাদনা করেছিলেন কবি ও সাংবাদিক লোকমান হোসেন পলা ভাই।এবার কলকাতার বারাসাত রবীন্দ্র ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত ভারত বাংলাদেশ উৎসব থেকে আমি দু’টি এওয়ার্ড লাভ করি।বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞান কবিতার প্রবর্তক হিসেবে ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রাপ্ত এওয়ার্ডটি হচ্ছে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিস ২০২৩ এওয়ার্ড।এ দিন অপর একটি এওয়ার্ড পাই আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে মহাত্মা গান্ধী পিস এওয়ার্ড ২৩।
২৫ তারিখ জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির রথীন্দ্রনাথ হলে আমার পূর্বাপর প্রকাশিত অনুজতুল্য সারল্যের কবি শাহ আলম চুন্নুর লেখা “দ্রোহের অগ্নিজল” কবিতা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেই।২৭ তারিখ চুন্নুর জন্মদিন আয়োজন ছিলো টালিগঞ্জ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বহুট্রাঙ্ক রেস্তোরাঁয়।সেখানে অংশ নেই।
শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিতে সিলেটের অনেক ঐতিহ্য রয়েছে।সিলেটের সন্তান শ্রী চৈতন্য দেব ওরফে নিমাই সন্ন্যাসীকে কেন্দ্র করে বৈষ্ণব সাহিত্য এসেছে।সিলেট থেকে মম আঁখি হইতে পয়দা আসমান জমিন তত্ত্বে ভাববাদ বিকশিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী।হাসন রাজা এ তত্ত্বের উপস্থাপক।গুরু সদয় দত্ত প্রবর্তিত ব্রতচারী আন্দোলন এখনো ভারতে আলো ছড়াচ্ছে।স্বয়ং বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে আন্দোলন করেছেন।অনুপ্রেরণা থেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ।
এরকমই আরেকটি আন্দোলন আমি করছি।তার নাম বিজ্ঞান কবিতা আন্দোলন।বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞানমনস্ক করার এ আন্দোলনে আমি জীবনের বড়ো অংশ ব্যয় করেছি।দেশ বিদেশে সম্মানিত হয়েছি।এছাড়াও সিলেটবাসীর রয়েছে নিজস্ব বর্ণমালা ‘সিলেট নাগরী লিপি’। এ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই।বাংলাদেশ এবং বহির্বিশ্বের নানা দেশে আমার প্রবর্তিত বিজ্ঞান কবিতা এখন অঅনুকরণীয়।
এবার যথা সময়ে বাংলাদেশে বিজ্ঞানকবিতা দিবস পালিত না হলেও ভারতে পালিত হচ্ছে।
দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি দূর হলে আমি বন্ধুদের সঙ্গে বিজ্ঞানকবিতা দিবস এবং আমার ৬১ তম জন্মদিনের মিলন উৎসব সম্পন্ন করবো…
Leave a Reply