রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ন

শোকের মাস আগস্ট

শোকের মাস আগস্ট

১৫ আগস্ট কলঙ্ক ও ঘাতক জিয়ার যোগসূত্র।। হাসনাইন সাজ্জাদী

১৯৭৫ সালের ১৫ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত দিন।এদিন বঙ্গবন্ধু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে নির্মমভাবে সপরিবারে নিহত হন বাঙালি জাতির তিন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।এ হত্যাকাণ্ডে তদানিন্তন উপ-সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের নাম এখন জড়িত থাকার তালিকায় যুক্ত।দেশি-বিদেশি একাধিক গবেষণাপত্রে এখন জিয়াউর রহমান এক ঠান্ডা মাথার খুনি হিসাবে চিত্রিত।তবে আমরা জানি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবার পর জিয়া খন্দকার মোশতাকের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন এবং সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহকে অস্ত্রের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করে নিজেই সেনাপ্রধানের পদ দখল করেন।কর্ণেল তাহেরের ভুল সিদ্ধান্তের ফলে ঘটিত প্রতিবিপ্লবী কর্মকাণ্ডের ফলে একই বছর ৭ নভেম্বর বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে হত্যা, খুন, গুম ও বিরোধী দল-মত দমনে জড়িয়ে পড়েন ক্ষমতালোভী জিয়া। জিয়া হলেন বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জনক। জিয়ার শাসনামলে দেশ পরিণত হয়েছিল জল্লাদখানায়।

তথ্যসূত্র বলছে, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর মুক্তি পেয়েই ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা শুরু করেন সুযোগ সন্ধানী জিয়া। তাকে মুক্ত করতে অবদান রাখা কর্নেল তাহেরকে পথ থেকে সরিয়ে দিয়ে ফাঁসি দিয়ে বিনা বিচারে হত্যা করেন জিয়া। সামরিক আইন প্রশাসক সায়েমকে সরিয়ে জিয়া নিজেই একাধারে সামরিক আইন প্রশাসক, সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দখল করেন। দেশ চলছিলো সামরিক আইনে।

জিয়ার অবৈধ শাসনকে নিরঙ্কুশ করতে সশস্ত্রবাহিনীর প্রায় ৫ হাজারের অধিক মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও জওয়ানকে ক্যাঙ্গারু কোর্টে অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অসংখ্য সৈনিককে বিনা বিচারে বন্দী রাখা হয়। বিনা বিচারে নিহত সৈনিকদের পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে গণকবর দেয়া হয় এবং তাদের পরিবারকে পেনশনসহ সকল ধরণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত করে পুরস্কৃত করেন এবং বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন।
জিয়া ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মেজর মঞ্জুরের হাতে নিহত হন।সন্দেহ করা হয় তার হত্যাকাণ্ডের পেছনে এরশাদের হাত ছিল এবং পরবর্তীতে এরশাদ ছিলেন এ হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি।এভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি ছিলেন জিয়া।
জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করেন।
বিশ্ব ইতিহাসে জিয়া এক ঘৃণিত নাম এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ইন্ধন দাতা হিসাবে চিহ্নিত।এদিকে বঙ্গবন্ধু এখন বিশ্ববন্ধু এবং মহাকাশে ভাসমান এক স্যাটেলাইটের নাম।এ নামই বাংলাদেশের ইতিহাসে অম্লান।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD