যে-কথা হয়নি বলা
চরম প্রতিকূলতার মধ্যে চাকসুর বার্ষিকী সম্পাাদক নির্বাচিত হওয়ার পর আমার দ্বিতীয় কাজটি ছিল চাকসু বার্ষিকী প্রকাশ। শিবির প্রথমেই আটকে দিয়েছিল বাজেট। উদ্দেশ্য আমি যাতে কোনোভাবেই বার্ষিকী প্রকাশ করতে না পারি। তারপরেও যখন আমাকে নিরস্ত করা যায়নি, তখন আটকে দিয়েছিল বার্ষিকী প্রকাশের অনুমোদন। তাতেও যখন কাজ হচ্ছিল না তখন চলে আমার সঙ্গে গোপন সমঝোতার চেষ্টা। বেশ বড় অংকের অর্থ উৎকোচ দেওয়ার চেষ্টা চলে গোপনে ও প্রকাশ্যে। এ কাজে তারা সুকৌশলে জড়িয়ে ফেলে নির্বিরোধ শিশুর মতো সরল তৎকালীন উপাচার্য আবদুল আজিজ খানকেও।
সব চেষ্টা বিফল হওয়ার পর তারা শরণাপন্ন হয় ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দের। তাদের কেউ কেউ আমাকে তীব্র চাপও দিয়েছেন সমঝোতায় রাজি হওয়ার জন্য। সমঝোতার শর্ত ছিল, প্রকাশিতব্য বার্ষিকীতে তাদের ভিপি-জিএসের বাণীসহ জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের কিছু লেখা প্রকাশ করতে হবে। ছাপতে হবে শিবিরের মেনিফেস্টোসহ তাদের সাফল্যের বৃত্তান্ত। অনেকটা একাই লড়তে হয়েছে আমাকে। পদে পদে রক্তাক্ত হয়েছি, কিন্তু সংকল্প ও আদর্শচ্যুত হইনি। শেষপর্যন্ত যে-বার্ষিকীটি বেরিয়েছিল তার পাতায় পাতায় সেই সাক্ষ্য মুদ্রিত হয়ে আছে। মুদ্রিত হয়ে আছে যে-সম্পাদকীয়টি সেদিন লিখেছিলাম তার প্রতিটি শব্দে।
বার্ষিকীর প্রচ্ছদ করেছিলেন খালিদ আহসান আর ভেতরের অঙ্গসজ্জা ছিল আহমেদ নেওয়াজের। প্রচ্ছদটি আমার সংগ্রহে নেই। যদি কারো সংগ্রহে থাকে দয়া করে আমাকে পাঠালে কৃতার্থ হবো।
স্মৃতিগদ্য/ ঢাকা: ৬ জুলাই ২০২১
Leave a Reply