মুক্তিযুদ্ধের ১ নং সেক্টরের সাব্রুম -হরিনা হেডকোয়ার্টারে
।।
আমরা বিকেলে রৌদ্র তাপের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম মহকুমায়।সাব্রুম বাজারের নিকটেই তৈরি হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু।এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।সাব্রুম-রামগড় সীমান্তে নির্মিত হয়েছে এ সেতু।রামগড় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা।রাঙামাটি জেলাতে তার অবস্থান।মুক্তিযুদ্ধের ১ নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিলো এখানে।কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের গৌরবময় ভূমিকার কথা আমরা জানি।কেন্দ্রটি চালুর পরপরই পাক হানাদারদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।ফলে তা রামগড়ের দূর্গম রাস্তা দিয়ে বেতারকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয় সাব্রুমে।তিনদিন সাব্রুম বাজারের বাছাইতে স্বাধীন বাংলা বেতারের যন্ত্রপাতি বসিয়ে প্রচার করা হয়।তখন নাম ছিল বিপ্লবী বাংলা বেতার কেন্দ্র।তারপর নিয়ে যায় বগাপা বাজারে।তারপর আরেকটু ভিতরে।
তখনকার কিশোর অশোকানন্দ রায়বর্ধন সচেতন মানুষ হিসেবে খুব কাছ থেকে যা দেখেছেন।সাধ্যমতো মুক্তিযুদ্ধের সহযোগিতা করেছেন তিনি।অশোকানন্দ রায়বর্ধন মহাশয় এখন ভারতের মস্তবড়ো লোকসংস্কৃতির গবেষক।মুক্তিযুদ্ধের গবেষণার অংশ হিসেবে আমরা মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করি।কথা বলি অশোকানন্দ রায়বর্ধন মহাশয়ের সঙ্গে।ছবি তুলি এবং তার বক্তব্য রেকর্ড করি।সেতু এখন দু’ পাড়ের মানুষের নিকট পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেতু উদ্বোধন হোক তারা চান।
গবেষণার অংশগুলো যথাসময়ে প্রকাশিত হবে।
Leave a Reply