বুনট মেঘেদের ভিড়ে
_____________________________
ন ই ম হা সা ন
তুমি কী সেই তুমি আছো
সেই উদ্দাম কিশোরী
অষ্টপ্রহরের খবর নিতে অধীর
ক্ষণে ক্ষণে দাঁড়াতে ব্যালকনির আড়ালে
দূত নিয়োগ করেছিলে, হিসেব ছাড়া!
ভাত খেয়েছি কিনা
কী কী পদ ছিল
এমন ফ্যাকাশে লাগছে কেন,
শরীর খারাপ করলো কিনা!
কোন পোশাকে কেমন লাগবে
ওটা কেন পড়োনি,
প্রশ্ন ছিল নিত্যদিনের
সেক্সপিয়ারের হেমলেট
কিংবা শরৎ চন্দ্রের বৈকুন্ঠের উইল
মৈত্রীয় দেবীর ন হন্যতে
বই বিনিময় হতো কদাচিৎ
একবার প্রত্যুষে কলেজ গেটে
দাঁড়ালে তুমি এসে হাতে দিয়ে
প্রিয় কিছু উপহার, বললে বাড়ি ফিরে
দেখে নিও
মনে পড়ে খুব
ও-পাড়ার অবনির সাথে
ঈষৎ কথা বলায় প্রচন্ড রেগে
দেখা করোনি পুরোটা ফাগুন
তাঁরপর হঠাৎ একদিন
বুকে ঝাঁপিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলে,
প্রাণপণ ভালোবাসার দৃঢ়তা
দেখিয়েছিলে সেদিন
এখন তো কত সভা-সেমিনার
তুমি খোঁজ রাখো না আর
হতচকিত চোখে দেখলাম
তোমার ধীরে ধীরে চলে যাওয়া
সময়ের হাতে হাত রেখে
কখন যে বদলে গেছো তুমি!
সুতো ছেঁড়া ঘুড়ির মতো
উড়তে উড়তে হারিয়ে গেলে
বুনট মেঘেদের ভিড়ে…
Leave a Reply