বুকের ভেতর অগ্নিগিরি
একটা ভুলে পঁচিশ বছর জলে গেলো, তবু আমি-
ভুলের মাঝে ফুল ফোটাতে ঢেলেই গেলাম পিরিতের জল।
বর্ষা বাদল গায় মাখিনি, কিংবা রোদের প্রখর তাপে-
ছায়ার খোঁজে যাইনি কারো গাছের ছায়ায়, ছুঁইনি কভু-
অনুরাগে ভিন্ন বাগে শোভন মোহন খুব মোলায়েম-
ফুলের পরাগ, পান করিনি তৃষ্ণা নাশক সুখের আরক।
কারো ঠোঁটে ঠোঁট রাখিনি, চাইনি হতে বিশ্বাসঘাতক।
চাতক পাখির মতোই কেবল অপেক্ষা আর উপেক্ষাদের
নীলকন্ঠ বিষ হজম করে কোনোরকম বেঁচে এবং
বর্তে আছি। সুখের নাগাল পেতে কেবল যাচ্ছি খেলে
অভাব এবং দুঃখের সাথে ছোঁয়াছুঁয়ির কানামাছি।
অষ্টপ্রহর নষ্ট করে একটা বিশাল আকাশ নিলাম
শ্রাবণ দিনের মেঘের মতো আকাশটাতেও ঘন আঁধার।
রবির কিরণ নেই এখানে, আলোর নাচন অন্যখানে।
অন্ধকারে বন্ধ দমে আর বাঁচি না! কেউ শোনে না কষ্টে ভরা –
নষ্ট পাঁজর ভাঙার আওয়াজ। সবাই কেমন অলস ঘুমে-
খুব অচেতন, নিউরোকোষে নিদাগ পচন, বোধের ঘটি শূন্য সবার।
তবু আমি দিনের আশায় দিন কাটালাম, ঋণ বাড়ালাম
চাঁদ হারালাম, ছাদ হারালাম। এখন কেবল মাথার ওপর-
শূন্য আকাশ, বুকের ওপর ব্যথার গিরি, অসহ্য আর ভীষণ ভারী!
শান্তি এবং সুখের আশায় খুব নিরবে লালন করি
চোখের ভেতর, বুকের ভেতর জীবন্ত এক অগ্নিগিরি।
০৭-০৭-২০২১
মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান
Leave a Reply