ছোট কাল থেকে মনু চাচাকে দেখে আসছি শুধু মানুষের নিন্দা , অপবাদ আর পরচর্চা করতে । নামী দামী লোক থেকে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ পর্যন্ত কারো সুনাম এই লোকটার মুখ থেকে শুনিনি । অত্যন্ত গরীব লোক । কিছু আর্থিক সহযোগিতার জন্য এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে । পেলেও বদনাম না পেলেও সে দুর্নাম করে ।
গতকাল বিকেলে আমার অফিসে এসে দুই পা উপরে উঠায়ে এমনভাবে বসে আছে , পরিধেয় লুঙ্গির নিচের অংশ পায়ের সাথে আটকে থাকায় গোটা বিশ্বকাপ ট্রফি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । এমন বিব্রতকর অবস্থায় দ্রুত তার হাতে দুই হাজার টাকা দেয়ার পর তার মুখের বিকট ভাব দেখে আরো দুই হাজার দিয়ে দিলাম । তারপরও বের হওয়ার সময় বললো , এমন কিপটে লোক সে জীবনে দেখেনি ।
এরপর আমার ভাইয়ের ছেলে তার স্ত্রী সহ ফুল আর কেক নিয়ে হাজির । ব্যাপারটা বুঝে উঠার আগেই বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতির পক্ষে ফুলের তোড়া আর শুভেচ্ছাপত্র নিয়ে আসলো ওনার ব্যক্তিগত সচিব । আমার স্টাফরাও আনলো পুষ্পস্তবক । শুক্রবার কোর্ট বন্ধ বিধায় আগের দিন বিকেলে সবার এই আয়োজন । অপর দিকে রাত বারোটায় পরিবারের অন্যরা বাসায় নেই জেনেও ছেলে একাই তার বাবাকে নিয়ে কেক কেটে বাবার প্রতি ছেলের ভালোবাসার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ।
আরো পড়ুনঃ বিষয় এবং ভালোবাসার বিশুদ্ধ পাঠ।মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান
সংখ্যা গণনায় একের পরেই আসে দুই , পাশাপাশি বসালে হয় ১২ । এই সংখাটির সাথে আমার জীবনের আছে এক নিবিড় সম্পর্ক । ছেলে সহ সবার জন্য রইলো অনেক শুভ কামনা । আমি চাই বাংলাদেশের সব ছেলে মেয়েরা তাদের মা বাবাকে এমন করে ভালোবাসার চাদরে আগলে রাখুক । জানি জন্মদিনে বয়স বাড়ে যেমন , বয়স (আয়ু ) কমেও ঠিক তেমনই ।” আমি ভুলে থাকি যত অবোধের মতো , বেলা বয়ে যায় ততো যায় হে ।”
বি.দ্র.স্মৃতিতে ১২ জুলাই। শ্রদ্ধেয় বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের জন্মদিন।২০১৯ সালের এ দিনের স্মৃতিচারণ ফেসবুকে উঠে আসলে তা উপস্থাপন করা হলো পূর্বাপরে।শুভ হোক স্যারের জন্মদিন।
ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত
Leave a Reply