প্রতিক্রিয়া হুদা ভাইকে নিয়ে
সাহিত্যের বিজ্ঞানায়ন হোক প্রত্যাশা …
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ভাই বাংলাসাহিত্যের সম্পদ। সরকার বাহাদুর তাঁকে বাংলা একাডেমিতে মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দিয়েছেন।তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত আক্রমণ ও হচ্ছে বলে ফেসবুক জুড়ে দেখতে পাচ্ছি।যার অধিকাংশই ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে হচ্ছে বলে কবি ও গবেষক রঞ্জনা বিশ্বাস আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এখানে ব্যক্তিগত আক্রোশের প্রতিফলন ঘটানোকে আমি সরকারের অনুগত হিসাবে সমর্থন করি না।আর ব্যক্তিগত আক্রোশই বা কী?তিনি সাহিত্যের তো ক্ষতি করেননি?বরং উপকারই করেছেন।এখন জাতির স্বার্থবিরোধী কিছু তাঁর দ্বারা সংগঠিত হলে সেটা নিয়ে আমরা ভিন্নমত পোষণ করবো।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বিজ্ঞান সাহিত্যে তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করবো।আর আমার মতে,চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র ও সমুদ্র পথে আগত আরবি বনিকদের দ্বারা রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব এবং তাঁরা বাঙালি।সারা দেশের বাঙালি মুসলমাদের মধ্যে আরবিদের,টার্কিদের কিংবা আফগানিদের এমন উত্তরাধিকাররাই বাঙালি মুসলমান।
এক্ষেত্রে সনাতনি হিন্দুদের ছাড়া খাটি বাঙালি পাওয়া যাবে না।আমরা আরব ও মুসলিম সংস্কৃতির দ্বারা বিকশিত।যদিও তা বিজাতীয়।তবুও তিনি সে জাতীয় কি না সেটাও প্রমাণিত নয়।
আবার তিনি যে রোহিঙ্গা এটাও সঠিক না হতে পারে।হতে পারে তিনি আমাদের কারো কারো অপছন্দের এবং আমাদের অনেকের হয়তো ভিন্ন প্রার্থী ছিলো।আমাদের অনেকের যোগ্যতার বাইরে নিজেদের কামনাও হয়তো ছিলো।
কিন্তু তাঁকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে আর আমাকে বা আমার প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়নি সরকার।আমি তাই হতাশ হবো?হবো না।ঠিক হবে না এমনটা করা।আর আমি সরকারের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসাবে হুদা ভাইকে অভিনন্দন জানাই।তাঁর সাফল্য এবং ব্যাক্তিগতভাবে বাংলাসাহিত্যকে বিজ্ঞানায়নে তাঁর সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
Leave a Reply