পালাতে পালাতে আমি চলে আসি রেলস্টেশন
তারপর পালাতে পালাতে আমি পেয়ে যাই ট্রেন
উঠে পড়ি একটি শীততাপ বগিতে পালাতে গিয়ে…
পালাতে পালাতে খুঁজে নেই একটি কাঙ্ক্ষিত আসন
আসনের ঠিক বামপাশে একটি জানালায় বদ্ধ কাচ
পালাতে পালাতে দেখি ডানে আরেকটি আসন
তারপর অনেকগুলো আসন অনেক মানুষজন
যাদের অনেকের মুখে মাস্ক আবার অনেকেই মাস্কহীন।
আমি পালাতে গিয়ে দেখি যাদের থেকে পালাতে চাই
তারাই আমার চারপাশ জুড়ে নৃত্যকরে খিলখিল হাসে
পালাতে পালাতে আমি সেই হাসিকেই অবলম্বন করি।
যে হাসাহাসির ভেতরে আমি বেড়ে উঠেছি
যে হাসাহাসিতে আমি পালিয়েছি ঢাকার বুকে
যে হাসাহাসিকে আমি ভেবেছি গলার কাঁটা
আমার কাছে কান্নার ছিল শৈল্পিক জগত
আমি পৃথিবীতে এসেই কান্নাতে ভর করেছি
দাঁড়াতে চেয়েছি আমি কান্নার ওপর
কান্নার ভেতর দিয়ে আমি আমার চাহিদাপত্র পাটাতাম মাকে।
কাঁদতে কাঁদতে দেখি আমি একা নই
মা ছাড়াও আমার আরো কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী জুটে গেল
তাদের সবারই লক্ষ্য ছিল আমাকে বাঁচানো।
বাঁচতে বাঁচতে আমি পালানো শিখে গেলাম
পালাতে পালাতে আমি ফিরে এলাম জন্মভিটেয়
ধরে নিলাম জীবনের নামই পালানো
জীবনের নাম রেল জংশন
কমলাপুর আখাউড়া কুলাউড়া জংশন আমার
পালিয়ে বেড়ানো জীবনের নাম।
Leave a Reply