প্রাচীন কিংবদন্তি বলে
নিজেরাই যখন নিজেদের আমরা কিনতে বা বিক্রয় করতে যাই খুবই সন্তর্পণে – গোপনে …
তখন আমাদের কোনো দোভাষী দরকার হয় না…
উত্তম ব্যক্তি’ গোপনে দোষ বেচতে যাচ্ছে-
ঈশ্বরের ঘরে’-
তৃতীয় ব্যক্তি যাজক’- সেখানে কি করে … ?
সত্য, তার ভালোর নীচের দিক থেকে
খারাবের দিকে যে বিগড়ানো পন্থায় উঠে আসে
দূরদেশের ঈশ্বরেরা এসে সে সত্যকে
পুনরুদ্ধার করে না…
বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের দিকে চোখ খুলে তাকালে
মহাকালের গায়ে লেপটে দিয়েছে সে সমস্ত মিথ্যা
সুয়ো-দুয়োরাণীর মিথের কিচ্ছা
কিভাবে গেঁথে রেখেছে তা বোঝার বোধোদয় হয় …
আকাশের সন্নিকটে যে মূর্ত আইন রাখা
তাকে অস্বীকার করার জন্যই
হাঁটু গেড়ে বসে থাকে গল্পকার সাধুরা
ইতিমধ্যে উদ্যোগ, নিষ্ঠা, কৌতূহল মিলে
যত্ন সহকারে যে সত্য বানিয়ে বানিয়ে বলে, হায় !
অন্য কোথাও তেমন ছিলো না বলেই
ধাঁধা এসে যায় …
কেউই লক্ষ্য করেনি – করে না
যুদ্ধ এলো – যুদ্ধ গেলো
জ্বলজ্বলে তারোয়াল চমকালো
বারুদে মাটিকে খনন করা হলো
সত্য আবারো উঠেছিলো
মানবজাতির সাথে দেখা করতে …
ধূলিকণা, বালির ঝলক,জিনিসপত্র ও কিছু ফসিল
ধ্বংসের মধ্যে ভারসাম্যহীন ডানায়
সীমারের অসীম দিকনির্দেশক ক্রিয়াকলাপের মতো
অজ্ঞানতা আগত হয় ক্রমাগত…
সত্য ছেঁড়ে কাঁপতে থাকা অপছায়া
আঙ্গুর হতে হতেই লম্বা হয় আঙ্গুরলতা
সমভূমির দিক ছাপিয়ে
তুরীয় হয় ছদ্মবেশিত মরুভূমির উপকথা …
শেষ পর্যন্ত নিজের মুখোমুখি নিজেকেই হতে হবে
গল্পটি চলেছে – চলছে – চলবে …
ঘটনাগুলি হাতছাড়া হয়ে গেলে
পদমর্যাদা
ক্ষমতা
‘করে খাওয়ার’ ধোঁকা
শেষরক্ষা- শেষ পর্যন্ত নেই’ হয়ে যাবে ….
*
নেই হয়ে যাবে
Leave a Reply