তিমিরবিনাশী
নীপা চৌধুরী
এই জীবনের পরে আরেকটি জীবন আসবে
জন্ম নিবে মহাবিশ্ব কুটিরে সোনালি এক
নতুন দিনের কেটে যাবে ঐ মেঘঘোর নামবে বৃষ্টি
বিষাদের দিন শেষে সূর্যালোকে ভয়ের ক্ষয়ের
দূর কালো ছায়া ঢেকে তিমির বিদায় নিবে
জিতে হেরে দৈত্য কীটের বিষাক্ত আত্না হয়তো
হালের কোনো ফলায় পিষ্ট হয়ে ভঙ্গুর হৃদয়ে
ফিরবে কৃষ্ণ গহ্বরে এইদিন খুব দুরে নয়
একদিন মানব বিনাশী কীটের বুক রক্তাক্ত করবে
বিজ্ঞান ধারালো তীর তখন তারা তাদের
প্রায়ান্ধ চোখে অচল লেন্স বসিয়ে এক জীবনের
চির হতাশা ব্যঞ্জনা বুকে নিয়ে অতলে তলিয়ে যাবে
এমন দিনে জীবাণু যুদ্ধ শেষে বেঁচে টিকে থাকলে
জীবাণু আয়ু শুন্য কোঠায় সংক্ষিপ্ত হলে নিরুত্তর
মহামারী নিরব বিদায়ে নিরুদ্দেশ হবে বিতর্ক বাক্যে
আবার সূর্যের লাভা গলা উত্তপ্ত তাপ রৌদ্র থেকে
পাওয়া ভিটামিন ডি খোলা আবাসস্থল তাদের
দুরে আরো দুরে অচেনা আড়ালে সৃষ্টির আরেক
দেয়াল ঘেঁষে অন্য কোনো গ্রহে করতে পারে বিলীন
তখন কান্নারা অচেতন নিস্তব্ধ হ্রদে হয় স্থির
শোকের পাথর গলে নিঃশেষ হয় মোমের ভিতর
মানুষ দীনাত্না তারার চোখে দেখতে পায়
জ্যোৎস্না ভেজা আলো যদিও চারিদিকে
প্রবীণ যুবা শিশু অগণনক মৃতের চক্ষের
ফসফোরেসেন্স দেখা যায় তারপর ও
নতুন দিনের প্রতিক্ষায় ভোরবেলা শেষ শতাব্দীর
সূর্যের নিকট নিজেকে আত্মসমর্পণ করি
এমন বেদনা কাতর স্মৃতির ভিতর থেকে
শিখে নিতে চাই জীবনের আলোড়ন।
আর স্বদেশ প্রেমের দীক্ষা বুকে ধারণ করে
পেত আত্নাগুলোকে বিদ্রোহী কবিতার কাছে সমর্পণ করে আমি হতে চাই এক বিপ্লবী তিমির বিনাশী
Leave a Reply