প্রেস বিজ্ঞপ্তি- ট্রাফিক এন্ড ড্রাইভিং স্কুলে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মদিন পালিত।
ট্রাফিক এন্ড ড্রাইভিং স্কুল(টিডিএস) এ বঙ্গমাতার চেতনা স্মার্ট বাংলাদেশের প্রেরণা প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। টিডিএস হল এ বিষয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টিডিএস এর পুলিশ সুপার প্রশিক্ষণ মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। ট্রাফিক এন্ড ড্রাইভিং স্কুলে ইতিহাসে প্রথমবার ঘটা করে বঙ্গমাতার জন্মদিন পালন করা হয়। শুরুতে সকাল ১০ টায় টিডিএস পুলিশ সুপার ট্রেনিং অফিস সম্মুখে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম প্রচেষ্টায় টিডিএসে প্রথমবার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হলো। এই সময় ট্রেনিং শাখার সকল সদস্য ও প্রশিক্ষনার্থীরা উপস্থিত ছিল।
শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে মোহাম্মদ আব্দুল হালিম এর সভাপতিত্বে বঙ্গমাতার উপর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বঙ্গমাতার জীবন ও মুক্তিযুদ্ধসহ নতুন দেশ গঠনে অনুপ্রেরণা দাত্রী হিসাবে উনার ভুমিকা নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহিয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন সাহসী ও দৃঢ়চেতা। তিনি কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামেও তিনি ছিলেন অন্যতম কাণ্ডারি। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ছিল আন্দোলন-সংগ্রামের। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বার বার তাকে যেতে হয়েছে কারাগারে। আর সেই সময়ে সবকিছু শক্তহাতে যিনি সামলে নিয়েছেন, তিনি জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
তিনি আরো বলেন ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নিজের ত্যাগ আর রাজনৈতিক দূরদর্শীতার দীক্ষায় মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্থান পেয়েছেন। জাতির পিতার রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে পেছন থেকে কাজ করেছেন শেখ মুজিবের প্রীয় রেণু। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ যেমন একই সূত্রে গাঁথা, তেমনি বঙ্গমাতাও বাঙালি, ও বাংলাদেশ তেমন একই সূত্রে গাঁথা।
সব শেষে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য দোয়া মোনাজাত করা হয় এবং বঙ্গমাতার জন্মদিনে আপ্যায়নের মাধ্যমে শেষে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
Leave a Reply