চিঠিকাব্য-২
প্রিয় অভাবিত,
অভয় নিয়ে লিখছি বলেই বৃক্ষের ডালের মতো আঙ্গুলগুলোর ছোঁয়ায় সাদা মনিটর কালো কালো অক্ষরে কিভাবে জীবন্ত হয়ে উঠছে।
স্মৃতিগুলো আজ বড্ড তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে,জড়িয়ে রাখছে,আলগিয়ে রাখছে;হঠাৎ পরিচর্যা পেয়ে জীবন্ত হয়ে উঠছে।
অন্যভাবে বলতে গেলে অষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখছে।সেই সময়টা যেভাবে আন্দোলিত করেছে,আলোড়িত করেছে সেই মুহুূর্তের বহুমাত্রিক বৈপরীত্যের কারনে পৌঁছানো হয়নি; আর কেনইবা পৌঁছাবো তাহলে আজ পৌঁছানো হতোনা!
যাইহোক মন কিন্তুু পৌঁছে গিয়েছিলো; মন তখন নীলকরের নীলটুকু শুষে নিয়ে নীলকন্ঠী হার হয়ে তুলতুলে নরম উষ্ণতায় জড়িয়ে রাখে। যদিও উচ্চারিত কোন শব্দ নেই,অভিব্যক্তি নেই।
সেই সময়টা অতো ভেবেচিন্তে বোধ কাজ করেনি,তাই ইচ্ছের লাগামও ধরতে হয়নি, ছুটছেতো ছুটছে।লৈঙ্গিক পার্থক্যও মাথায় কাজ করেনি!
মনে হচ্ছিলো ছুঁটে যাই খুব কাছে,একেবারে গা ঘেঁসে- তারপর দুহাতের তালুতে মুখখানা শিশুর মতো করে তুলে ধরি;তারপর নরম উষ্ণতার মাঝে লেপ্টে রাখি, জড়িয়ে রাখি অতঃপর রাজ্যের মন ভোলানো কথা বলে ভুলিয়ে দেই ব্যথা কাতরতা। ঐ সময় বোধের জগৎটা অগোছালো ছিলো,স্পষ্টভাবে ঠিক দেখতে পাইনি,ছুঁয়ে ছুঁয়েও ছুঁতে পারিনি।
আজ কেনো যেনো সেই বোধের জগতে বুনো গন্ধের উন্মাদনা জেগে উঠছে; পরিণত স্বাবলম্বী আঙ্গুলগুলো আড়ষ্ট হয়ে যাচ্ছে জড়িয়ে যাচ্ছে বিস্ময়করভাবে।
কাজের ভিড়ে দুটো বাক্য অন্য রকম ভাবে নাড়া দেয় ‘
“ময়রা মুদি
চক্ষু মুদি”।
চক্ষু মুদি লাইনটা বেশ জোড়ালো ভাবে ধাক্কা দেয়।চোখতো সত্যি সত্যি মুদে যাচ্ছে! কবি গুরুর কাছে শেষ আশ্রয়’ চক্ষে আমার তৃষ্ণা,ওগো তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে ; আমি বৃষ্টবিহীন বৈশাখি দিন সন্তাপে প্রাণ যায় যে পুড়ে….
Leave a Reply