অভিমান বুকে একদিন ঘুমঘোরে লাশ হয়ে যাবো
ডোরবেলে তর্জনী ছুঁয়ে তুমি আশাহত হয়ে ফিরে যাবে
জেনে যাবে পৃথিবীর কোথাও আমি নেই !
নক্ষত্রের আলোময় ধরিত্রীর শব্দহীন রাত পিছে ফেলে
নিজেকে হারাবো কালোসিন্ধুর নিকষ আঁধারে !
মায়াময় মুখগুলো পেছনে রেখে চলে যাব দূরদেশে
তোমার বোবাকান্না ঢেউ হয়ে ছুঁয়ে যাবে বুকের সৈকতে
বেদনারা নীল তিমি হয়ে ভেসে উঠবে নোনাজলে দুচোখের কোণে
অতি আদরে জমানো রক্তিম ভালোবাসা
বুকে নিতে- আসবো না ফিরে।
বকুলের নিচে অনাদরে পড়ে থাকা কিছু ঝরা ফুল
বর্ষার এলোমেলো বাতাস সবুজ পাতায় তুলবে আকুতির সুর
অষ্টাদশীর বুকভাঙা কষ্টে ধরণী কেঁপে উঠবে বজ্রপাতে
মধ্যাহ্নে জেগে উঠা নীলাকাশ বেদনায় সুনীল হবে স্বজনের আহাজারিতে
পিছনে পড়ে রবে প্রিয় শহরের কিছু স্মৃতি
আক্ষেপের শব্দভেদি বান- বিনয়ের হাসি
ফিরে আর আসবো না, অদৃশ্যে লুকাবো আমি।
জাগতিক ক্লান্তি ভুলে মাতাল হাওয়ায় উড়বে বিলুপ্ত মায়া
হৃদয়ের গোপন প্রকোষ্ঠে লুকিয়ে সাথে নিয়ে যাব-
জোছনা মথিত চাঁদমুখের ছায়া
কিছু দুঃসময়, অপ্রাপ্তি, ব্যর্থতা
প্রসন্ন কপালে অভিমানের রঙে এঁকে দিয়ে যাবো বিরহী ঠোঁটের আদ্রতা
পুরোনো অতীত, কিছু কবিতার খাতা আর কিছু গল্প
দেখে নিও একদিন ঘুমঘোরে লাশ হয়ে যাবো।
Leave a Reply