মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় একজন গ্রাম্য কবিরাজ এক গৃহবধূকে (১৯) চিকিৎসার নামে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত কবিরাজ মবশ্বির আলীকে (৪৩) এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের দিন সন্ধ্যায় কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। গৃহবধূর স্বামী পর দিন শনিবার বিকেলে মামলা করেন। অভিযুক্ত মবশ্বিরের বাড়ি শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাদানগর গ্রামে।
ওই গৃহবধূ বেশকিছুদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। মবশ্বির কবিরাজ হিসেবে ওই এলাকায় পরিচিত ছিলেন। গৃহবধূর স্বামী ওই কবিরাজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। শুক্রবার বিকেলে মবশ্বির চিকিৎসার জন্য তাঁদের বাড়িতে আসে। সেদিন সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে ঘরের বাইরে চলে যেতে বলেন।
পরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে ফেলেন মবশ্বির । এর কিছু সময় পর গৃহবধূর চিৎকার শুনে স্বজনেরা দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও কবিরাজ মবশ্বির সাড়া দিচ্ছিলেন না। পরে দরজা ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করলে গৃহবধূ কেঁদে কেঁদে বলেন মবশ্বির কবিরাজ তাকে ধর্ষণ করেছেন।
সেই সময় মবশ্বির পালানোর চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন ধাওয়া করে তাঁকে আটক করেন। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কবিরাজ মবশ্বির আটক করে। গৃহবধূকে ওই রাতে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভুষণ রায় বলেন, কবিরাজ মবশ্বিরকে গৃহবধূর স্বামীর করা মামলায় গ্রেপ্তার করে শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়েছে। সেখানে সে ১৬৪ ধারায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরে মবশ্বিরকে আদালতের নির্দেশে মৌলভীবাজারের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply