অনন্ত রিয়াজ , বরগুনা থেকে
কবি মুস্তফা হাবীব একজন সাদা মনের মানুষ । মিতভাষী,সৃষ্টি সুখের উল্লাসে পথচলাতেই আনন্দ । আধুনিক কবি।কবিতাঙ্গনে তিনি অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন।
শিশুতোস সাহিত্য জগতেও তার ভূমিকা অপরিসীম।আমি তাকে কাছে থেকে যতটা সময় দেখেছি সে অত্যন্ত সৎ এবং ন্যায়পরায়ন।মহৎ জীবন নির্মাণে মিথ্যাকে সব সময় অগ্রাহ্য করেন।মানুষ তার কাছ থেকে পেয়েছে সুশিক্ষা, কোনো কুশিক্ষা কাউকে দেননি তিনি।গ্রাম মহল্লার পাড়ার সন্ত্রাস দূর করেছেন কবিতার ভাষা দিয়ে।
অলংকৃত করেছেন কবিতার আসর।সৎ জীবন যাপন করাই ছিলো তার জীবনের প্রথম অঙ্গীকার আর সে কারণেই বেছে নিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি! এ পদে যোগদানের আগে ব্যাংকসহ সরকারি, বেসরকারি চাকুরী হলেও নিজের খেয়ালে তিনি সব এড়িয়ে যান! এ যুগে এটি একটি ব্যতিক্রম ঘটনা।
তিনি ছোট বেলা থেকেই প্রখর মেধার অধিকারী। তিনি যখন যে শ্রেণীতে অধ্যয়ন করতেন তখনই সেই শ্রেণীর ছাত্রদের বাড়িতে ডেকে এনে পড়াতেন। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালীন সময় থেকেই কবিতা লেখা শুরু করেন।
কবিতায় অসামান্য অবদান রাখায় বেশ কিছু পুরস্কারে ভূষিত হন যেমন : কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ পুরস্কার, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, মাদার তেরেসা সম্মাননা, কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতিপদক, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপটেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সম্মাননা, বিদ্যাপীঠ সাহিত্য সম্মাননা! বিভাগীয় গুনীজন সম্মাননা।
তিনি কলকাতা, মেদেনীপুর এবং উরিষ্যায় সংবর্ধিত হন। তিনি প্রেম অনুরাগের কবি, দেশ মাটি ও মানুষের কবি। তিনি বিপ্লবী ও প্রচলিত সমাজ ভাঙার কবি। তার কবিতার বিষয় বৈচিত্র্য নিয়ে অল্প কথায় কিছুই বলা যায় না। তাঁর রচনা সামগ্রী নিবিড় পঠন পাঠন ছাড়া এক কথায় কিছু বলা আমি অনুচিত বলে মনে করি। পরবর্তীতে তাঁর লেখালেখির ওপর গবেষনা করে সুবৃহৎ গ্রন্থ প্রকাশ করার আশারাখি।
Leave a Reply