বন্ধু আমার।
যাকে নিয়ে লিখতে গেলে লিখতে হয় বহুমাত্রিক উপাখ্যান!
কবি, নাট্যকার, সাংবাদিক, গীতিকার শিশু সাহিত্যিক, কলামিস্ট, শিক্ষক -কোন পরিচয় রেখে কোনটা বলি! কোনো একটি বিশেষণেই পূর্ণাঙ্গরূপে ধরা পড়েন না যিনি, তার নাম বহুমাত্রিক লেখক সাংবাদিক কবি নাসির আহমেদ!
ভাবতে গৌরব বোধ করি বহু জাতীয় ও বহির্বিশ্বের পুরস্কারে সম্মাননায় ভূষিত এই গুণী কবি আমার দীর্ঘ কালের বন্ধু।
প্রায় চার দশকের।আমার হৃদয়ের ভালোলাগা ভালোবাসার মানুষ,আমার অন্তর,যার সাথে রয়েছে আমার অনেক দুর্লভ স্মৃতি!যার গুণপনার কথা কয়েকটি শব্দে বা কয়েকটি লাইনে বলে বোঝানো যাবে না। এই গুণী মানুষটি যখন যেখানে কাজ করেছেন সেখানেই রেখেছেন নিষ্ঠার ছাপ। নিমগ্ন নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন বলেই সর্বত্র সফলতার সাক্ষর রেখেছেন। তাঁকে দেখেছি কিংবদন্তি কবি সাহিত্য সম্পাদক আহসান হাবীবের সঙ্গে দৈনিক বাংলায়, দেখেছি আরেক জীবন্ত কিংবদন্তি সাংবাদিক শিরোমণি শ্রদ্ধেয় তোয়াব খানের সঙ্গে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায়। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন সেখানে। দৈনিক সমকালের দেশবরেণ্য সাংবাদিক আবেদ খানের সঙ্গেও তাঁকে কাজ করতে দেখেছি। দেখেছিলাম আরও এক কিংবদন্তি সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার ভাইয়ের সাথে সহযোগী সম্পাদক হিসেবে সমকালের দায়িত্ব পালন করতে।
মুগ্ধ হয়েছি তার অনিবার্যতার মতো যোগ্যতা দেখে।
ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র, বেতার টিভির অনিবার্য প্রয়োজনীয় গুণী গীতিকার,তার গানের সুর করেছেন বাংলা গানের কিংবদন্তি আবদুল আহাদ,সমর দাস,সুবল দাস খন্দকার নূরুল আলম,দেবূ ভট্টাচার্যদের মতো সঙ্গীত পরিচালকগণ। বি.টি.ভিতে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের “দুই সৈনিক” গল্পের নাট্যরুপ দিয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক লিখে যে আলোরণ সৃষ্টি করেছিলেন তা এখন ও স্রোতা দর্শক হৃদয়ে অম্লান। বহুল আলোচিত এ ধারাবাহিকটি পূর্ণ প্রচারের অনুরোধ রইল। এ সপ্তাহের নাটক,”এক রহস্যময়ী মৎস্য কন্যার জন্যে”।নাসির আহমেদের লেখা বি.টি.ভির এই নাটকটি ও পূর্ণ প্রচারের জন্য অনুরোধ করছি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (বার্তা) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেও সবসময় থেকেছেন নিরহংকার। তার শিশুর মতো সারল্য সবাইকে মুগ্ধ করে। আমাকেও তার সরল মনের বন্ধুত্ব টেনেছে সবচেয়ে বেশি।
এতো গুণে গুণাণ্বিত হয়ে ও তাঁর কর্মকান্ডের প্রতি তাঁরই অতৃপ্তি,একজন মহামানবের বৈশিষ্ট্যই মূর্ত করে তোলে।
ভালো থাকুন বন্ধু ঈর্ষনীয় ভাবে ভালো থাকুন।পৃথিবী ধ্বংস হলে ও আমরা দু’জনে,দু’জনার দেখা পাবার গভীর প্রত্যাশায় থাকি।
লিখে যান বন্ধু কবি আপনার অব্যক্ত যন্ত্রনার বহিঃপ্রকাশ সদা সর্বত্র পত্রিকার পাতায় আমি অপেক্ষায় থাকব।
শব্দের গন্ডিতে জীবনের অস্থির পঃতির নিঃশ্বাস আমাকে আমার মনকে ব্যথিত করুক এ আমি চাই না,দৈব বানীর মতো শব্দঃপুঞ্জ আপনার লেখনিতে বয়ে আনুক এই আমার নিঃশব্দ আর্শিধ্বনী!
Leave a Reply