শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৩ অপরাহ্ন

কবি জাহিদুল হকের জন্মদিনের শুভেচ্ছা -ড. সাইমন জাকারিয়া

কবি জাহিদুল হকের জন্মদিনের শুভেচ্ছা -ড. সাইমন জাকারিয়া

কবি জাহিদুল হকের জন্মদিনের শুভেচ্ছা -ড. সাইমন জাকারিয়া

কবি জাহিদুল হকের জন্মদিনের শুভেচ্ছা
দুঃখ সুন্দর হয়েছে

কবি জাহিদুল হক পকেট ভর্তি মেঘ নিয়ে তাঁর কাব্যিক অভিযাত্রার সূচনা করেছিলেন। সে গত সহস্রাব্দের শেষ শতকের দ্বিতীয় পর্বে। তাঁকে ষাটের দশকের কবি হিসেবে মান্য ও গণ্য করা হয়। এর কারণ, ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে দৈনিক সংবাদেও ঈদ সংখ্যায় তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। শুধু তাই নয়, ষাটের দশকে কবি তাঁর কাব্যিক আত্মপ্রকাশকে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করে তোলেন। কিন্তু তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ পকেট ভর্তি মেঘ প্রকাশিত হয়েছিল একটু দেরিতে, ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে। মজার ব্যাপার হলো কবি তাঁর এই দেরিতে কাব্য প্রকাশের বিষয় গ্রন্থন করেছেন প্রথম কাব্যের “বসতি” কবিতায়। যে কবিতার সূচনায় কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস—এর অসামান্য একটি কাব্যোক্তির উদ্ধৃতি জুড়ে দিয়েছেন, যাতে ইয়েটস স্পষ্টই বলেছিলেন, “আমরা তখনই বাঁচতে শুরু করি যখন আমরা জীবনকে ট্রাজেডি হিসেবে ধারণ করি।” কবি জাহিদুল হকের কাব্যসত্তায় বারবার ট্রাজিক জীবনবোধের নানান অনুষঙ্গ বিভিন্ন চিত্রকল্প ও রূপকের আশ্রয়ে ঘুরে ফিরে গ্রন্থিত হয়ে দেখা যায়। সে কথায় পরে আসছি, এখন না নয়, দেরি করে কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের কথা কবি জাহিদুল হক কীভাবে বয়ান করেছেন সে—কথা উল্লেখ করা যাক, না সে কথা আমার ভাষায় নয়, বলবো জাহিদুল হকের ভাষায়। তিনি লিখেছেন-

“কতদিন পরে এই গাঁয়ে ফেরা!…
ফাঁকা বাড়ি, মলিনতা—ছোঁয়া এই
ভিটেমাটি যেন কাঁদলো আমাকে দেখে শোকাতুরা
মায়ের মতন। ভাইবোনগুলো সবাই শহরে
থাকে, মা—ও, বাবা তো কবরে শুয়ে; নক্ষত্রের রোদে
কিংবা নীলিমার চাঁদের আড়ালে কিংবা পিতৃভূমি
এই গ্রামের ঘুমোবেন বলে যেন ফিরেছেন তিনি
অচেনা শহর থেকে; (মাঝে—মধ্যে আমিও যে আসি
উজান নৌকোর মতো পাল তুলে, সে কি এই জন্যে?)
কবরের ফুলগুলো হেসে ওঠে আমার দু’চোখে:
‘আয়, আয়, কেমন আছিস?
তোর কবিতার বই
কবে বের হবে?’”

এখানে একান্তভাবে কবি কবরে শায়িত মৃত বাবার উক্তির ভেতর দিয়ে নিজের আকাক্সিক্ষত কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের আকুতিময় অপেক্ষার কথা গ্রন্থন করেছেন। এ ধরনের উক্তির ভেতর দিয়ে প্রতীয়মান হয়, কবি কীভাবে নিজের আত্মজীবনীর উপাদানকে কাব্যে স্থান দিয়ে থাকেন। জাহিদুল হক এক্ষেত্রে অনন্যতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর কবিতায় নিজের যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণিত হয় শিল্প—নিপুণতায় এবং কাব্যিক অভীজ্ঞায় জারিত হয়ে।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার স্মৃতিচিহ্ন থেকে কবি কখনো কখনো প্রবেশ করেন ইতিহাসের ঝঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ গলিতে; যুক্ত করেন বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যতের ত্রিমোহনা। “বসতি” কবিতার দ্বিতীয় পর্বে তাঁর একটি দৃষ্টান্ত রয়েছে, যেখানে বর্তমানে দাঁড়িয়ে কবি লিখেছেন-

“মাঝে—মধ্যে বাড়িটা বিক্রির কথা ওঠে,
এ—ও এক দ্রোহ, বুঝি; মা এতে দারুণ রাগ করে
ভাইদের বলে, শহরে দু’কাঠা জমি কিনবি যে,
ফের যদি যুদ্ধ হয় পালাবি কোথায়? আমি শুধু
চুপ করে থাকি, আমার স্মৃতির মধ্যে কেঁদে ওঠে
মারণাস্ত্রে আক্রান্ত শহর: সারারাত্রি গোলাগুলি,
হত্য, খুন, ভোরবেলা রক্তের ফিনকির মতো সেই
মানুষের স্রোত, চোখ—বাঁধা মুক্তিযোদ্ধা, রমণীর
ছিন্নবাস, শিশুর মাথার খুলি মগজে ও রক্তে
মাথামাখি, মানুষ পালাচ্ছে শুধু গাঁও—গেরামের
দিকে! কিন্তু গ্রাম যুদ্ধের সীমানা থেকে বহু দূরে
ভেবেছো মা? বিশেষত এইবার যদি যুদ্ধ হয়?”

এই প্রশ্নের পর কবি নিজেই একটির পর একটি প্রশ্ন করে ভবিষ্যতের পথকে বিপদ সংকুল বলে শনাক্ত করেন। কবি লিখেছেন-

“অই স্লান রঙচটা সুতির অঁাচলে ঢেকে রেখে
কী করে বাঁচাবে তুমি তোমার ছেলেকে? পারবে না।
মারণাস্ত্র কেড়ে নিচ্ছে তোমার চুম্বন, ভয়ঙ্কর
এই নদী ভেঙে দিচ্ছে তোমার স্বামীর ভিটেবাড়ি,
চারিদিকে যুদ্ধ হচ্ছে, জ¦লছে শহর, তোমাদের
অবিরত চোখের পানিতে কিছুতেই ভিজবে না
পৃথিবীর তাবৎ বারুদ।”

এই সব মুখ ফুটে কবি কখনও বলেন না। অনুভব ও ইতিহাসবোধ দিয়ে উপলব্ধি করেন শুধু। শেষে নিজের ইতিহাসবোধের পরিচয় দিয়ে কবি পাঠকের উদ্দেশ্যে বলেন-

“কিন্তু আমি চুপ করে
থাকি, কিছুই বলি না। বলে কী এমন লাভ হবে
পৃথিবীর? এই বাড়ি ভেঙে যাবে, এই কালো গ্রাম,
হিরোশিমা জ¦লবে আগুনে, এশিয়ার ভাঁজে—ভাঁজে
রাক্ষুসী নদীর ধ্বসে, মাইল—মাইল লকলকে
ভেড়ে আসা হাবিয়ায়, ‘মা, তুমি কোথায় আজ?
আমার স্ত্রী আর সন্তানেরা?’”

পৃথিবী বাসের বিচিত্র সংকটকে কবি চিহ্নিত করেন। কবির অভিজ্ঞ চোখে ধরা পড়ে একদিকে প্রকৃতির বিধ্বংসী গ্রাস, অন্যদিকে মারণাস্ত্রের সন্ত্রাস, এই দ্বিবিধ সংকটের ভেতর মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তবে?
গ্রামের সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর কবির কানে এসে বিঁধে, “দক্ষিণ পাড়ার এক ম্লান—মুখ বউ’—এর তীব্র কণ্ঠ কবিকে তাড়া করে, কবি তাঁর কণ্ঠে শোনেন-

“‘ভাই, তুমি এতো স্বার্থপর কেন? আমাদের জন্যে
কিছু করো, তোমার বাপের গ্রাম, বাপের কবর
ওই নদী ভেঙে দেবে, কী করে সইবে তুমি?’”

এই তিরস্কারের পর কবি বলেন-

“‘আমি সকলকে ডেকে
হয়তো আশ্বাস কিংবা বিশ্বাসের মৃদু কিছু কথা
শুনিয়ে দিয়েছি; কিন্তু জানি, বিশ্বাস তো ভেঙে যাচ্ছে,
ভেঙে যাচ্ছে ভাঙনকে প্রতিরোধ করার প্রয়াস:’”

তবু কবি, ব্যর্থ হতে রাজি নন, তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন,-

“‘যেখানেই যাই,
যত দূরে পালাই না কেন, আবার ফিরবো আমি
হাজার নদীর ধ্বস খুঁড়ে খুঁড়ে তোমার সম্মুখে!”

এই উচ্চারণে ভেতর কবির প্রত্যয়, দ্রোহ তীব্রভাবে প্রকাশ পায়।
লক্ষ্যণীয়, “বসতি” কবিতার শরীর জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের চিরায়ত টানাপোড়েনের কথামালা। এছাড়া, এই কবিতাটিতে আকর্ষণী কিছু চিত্রকল্পের প্রয়োগ প্রত্যক্ষ করা যায়, যেমন-

“বাড়ির পাশেই নদী, বলা যায়
এই বাড়ি নদীর কাঁখের পরে কলসের মতো
যেন বসে আছে, চুপচাপ, ভেতরে কাজল ব্যথা।”

এখানে কবির ব্যতিক্রমী দেখার চোখের গুণে অসাধারণ একটি চিত্রকল্প রচিত হয়েছে। চিত্রকল্পটিতে নদী হয়ে উঠেছে গ্রামীণ বধূ, যে কিনা চিরায়ত গ্রামীণ নারীর মতো কলসী কাঁখে স্থির, আর নদী তীরবর্তী গ্রামীণ বাড়িটি যথার্থ হয়ে যেন সেই নদী—নারীর কাঁখের কলসীর রূপ গ্রহণ করেছে; শুধু তাই নয়, কবি সেই কাঁখের কলসী—রূপী বাড়ির ‘ভেতর কাজল ব্যথা’র চিত্রকল্প যুক্ত করে দিয়ে অপূর্ব এক শিল্পনৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন। কবির বর্ণনায়, পটুয়া কামরুল হাসানের চিত্রকলা ‘কলসী কাঁখে নারী’ ও ভাওয়াইয়া গানের ‘ও কি ও বন্ধু কাজল ভোমরা’র প্রলম্ভিত বেদনাক্রান্ত সুর—বাণী একাকার হয়ে যায়। বাংলাদেশের আধুনিক কবিতায় এমন ত্রিবিধ বিষয়ে সম্মিলন দুর্লভ।

দুই
‘চিরশিল্পের বাড়ি’র আবাসী কবি জাহিদুল হকের কাব্যভুবনে ধ্রুপদী শিল্প—অভিজ্ঞতার নানা বয়ান খুঁজে পাওয়া যায়। লক্ষ্যণীয়, এটা কবির অর্বাচীন কালের প্রাপ্তি নয়, এই বোধ কবি খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁর কাব্য অভিযাত্রার প্রথম পর্বেই। তাই তো তাঁর প্রথম কাব্যের প্রথম কবিতাতে রয়েছে আশ্চর্য সব অভিব্যক্তি। যেমন, কবি তাঁর “প্রতীক” কবিতায় লিখেছেন-

“তোমার আংটির আলো পড়ে পড়ে সমস্ত শহর যেন প্রাচীন ধ্রুপদ
স্থাপত্যের নিদর্শনে ভরে যায়;
আমি কিছু কারুকার্যে টোকা মেরে যাই,
তখনই নূপুর বাজে, মনে হয় প্রকৃত জীবন বলে সত্যি কিছু নাই
এ জীবনে; তুমিও প্রতীক: ভালোবাসা কিংবা এই তোমার আড়ালে থেকে
অনুসরণের কাজ।”

বাস্তব অভিজ্ঞতাকে জাদুবাস্তবতার আলোক বিচ্ছুরণে সম্প্রসারিত করার এই দক্ষতা তখনই একজন কবি অর্জন করেন যখন তিনি দৃশ্যের পর্দা পেরিয়ে কল্পনার দূর—অতিক্রমীয় অভিযাত্রার সাথে নিজেকে যুক্ত করতে পারেন। এক্ষেত্রে জাহিদুল হক সার্থক কবিপ্রতিভার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর কবিতা প্রায়শ আমাদের চেনা—জানা দৃশ্য, জাগতিক ও মহাজাগতিক বস্তু ও বিষয়কে ভিন্নতর প্রতীকের ব্যঞ্জনায় ও ব্যাখ্যায় দীক্ষিত করে। এক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত দিচ্ছি তাঁর “জাতিস্বর” কবিতা থেকে, তিনি লিখেছেন-

“এখনো আকাশে আধখানা চাঁদ
মনে হয় প্রস্তর—খণ্ড:
যেন কবেকার পশু শিকারের অস্ত্র!”

এক্ষেত্রে কবি নিজেকে প্রত্মকালের অভিজ্ঞ একজন শিকারীর চোখ দিয়ে “আকাশের আধখানা চাঁদ”কে “শিকারের অস্ত্র” একটি “প্রস্তর—খণ্ড”—এর প্রতীকে চিহ্নিত করেছেন। এই দেখার চোখ অবশ্যই ব্যতিক্রমী। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর গানে যেখানে “আধখানা চাঁদ”—কে আলতা রাখার পাত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন, “আমি গগনে গহনে সন্ধ্যাতারা” গানে নজরুল লিখেছিলেনÑ“আলতা রাখার পাত্র আমার আধখানা চাঁদ ভাঙা/তাহারি রং গড়িয়ে পড়ে অস্ত—আকাশ রাঙা”। কিন্তু প্রত্ন—চোখে কবি জাহিদুল হক সেই “আধখানা চাঁদ”কে সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রায় প্রত্যক্ষ করে এবং করিয়ে পাঠককে চকিত বোধে সজাগ করেছেন।
এমন ধরনের ভিন্নভাবে দেখার বিষয় জাহিদুল হকের অনেক কবিতায় নানামাত্রায় খুঁজে পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে আরেকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে চাই। যেমন-সকলের খুবই পরিচিত একটি অনুষঙ্গ হলো “দুঃখ”। এই “দুঃখ”—এর সৌন্দর্য অন্য কারো চোখে না পড়লেও কবি জাহিদুল হকের পড়েছে, তাই তো তিনি “আমার মৃত্যু হলে দেখবো” কবিতার অন্তিম পর্যায়ে তিনি লিখেছেন,-

“আমার মৃত্যু হলে দেখবো তোমার গন্ধ
থমকে দাঁড়িয়ে আছে বিছানার পাশে,
দেখবো তোমার চোখে একটি গোপন কান্না
আশ্চর্য মুক্তোর মতো জ¦লে উঠেছে,
মানুষেররা দুঃখ পায় বটে, আমার মৃত্যু হলে দেখবো
এতদিনে সেই দুঃখ সুন্দর হয়েছে!”

কী আশ্চর্যভাবে কবি জাহিদুল দুঃখেরও সৌন্দর্যের অভিজ্ঞা দিলেন। এ রকম ব্যতিক্রমী আরেক অভিজ্ঞা খঁুজে পাওয়া যায় তাঁর “ফেরা” কবিতায়, তিনি লিখেছেন-

“রাত্রি হয়, রাত হয়, রাত্রের শেষ আজানের মতো কেঁদে কেঁদে
রাত বাড়ে ঝিঁঝিঁ পোকা নৈশব্দের উঠানে!”

এক্ষেত্রে কবি আজানের আকুল আহ্বানের আকুতি মেশানো সুরের আবহকে কান্নার অভিব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, এতে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্নতাকে পাঠকেরা সচেতনভাবে গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।

কবি জাহিদুল হক কবিতায় আশ্চর্যভাবে মহাবোধের সংস্থান রয়েছে। তেমন একটি কবিতা হলো-“তোমাকে দেখলে”, এই কবিতাটির শুরুতেই কবি লিখেছেন,-

“তোমাকে দেখলে শুকতারা বলে ভুল করে ফেলি
ওই আকাশের মহাশূন্যতা ছুঁয়ে আছো তুমি;
আমাকে দিয়েই সৃষ্টির শুরু যদি ধরে নিই
আমি আদি প্রাণ, তুমি কর্ষিত শষ্যের ভূমি।”

এখানে কবি মহাজগতিক দৃশ্যের ভেতর মহাবোধে বিশ^ ও মানব সৃষ্টির আদি ইতিহাসকে যেমন চারণ করেন তেমনি তার সাথে কৃষি—সভ্যতায় পুরুষ ও প্রকৃতির লীলাময় সংসারকে তুলে ধরেন।

কবির এই মহাভাব থেকে বাদ পড়েন না আমাদের “সাঁই”। কেননা, “একদিন দেখা হবে” কবিতায় তিনি লিখেছেন-

“একদিন দেখা হবে, নিশ্চয় কখনো তোর সাঁই
দরদিয়া দরদে কালিন্দী—জলে দেখা দেবে ফের,”

কবির এই প্রত্যাশা সত্য হোক। কবির মঙ্গল হোক।
শুভ জন্মদিন হে প্রিয় কবি জাহিদুল হক।

বিনীত @ সাইমন জাকারিয়া

ছবিসূত্র: পাঠক সমাবেশ সেন্টারে, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ছবি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD