শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

এমপি খুন :  ডিবির ভারত সফর শতভাগ সফল

এমপি খুন :  ডিবির ভারত সফর শতভাগ সফল

ডেস্ক রিপোর্ট :  ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যে উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতায় এসেছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল, তাতে তারা শতভাগ সফল হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) কলকাতা ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।
গত রোববার কলকাতায় আসে বাংলাদেশের তিন সদস্যের গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই তারা সোজা চলে যান নিউটাউন থানায়। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) সঙ্গে কৃষ্ণমাটি বাগজোলা খাল পরিদর্শন করেন প্রতিনিধিরা। পরে যথাক্রমে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস, সিআইডি ভবন, হাতিশালা খালসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন তারা। পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, সিআইডি এডিজি আর রাজাশেখরণের সঙ্গেও কথা বলেন ডিবিপ্রধান।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে এরই মধ্যে ঢাকায় ফিরে গেছেন হারুন অর রশীদ ও অন্য কর্মকর্তারা। তার আগে নিউটাউনের একটি পাঁচ তারকা হোটেল থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ডিবিপ্রধান।
তিনি বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে ভারত ও বাংলাদেশ দুটি জায়গায় মামলা হয়েছে। সে কারণেই তদন্ত করতে আমরা কলকাতায় এসেছি এবং সিআইডির প্রতিনিধি দলও তদন্তের স্বার্থে বাংলাদেশে গেছে। আমরা এরই মধ্যে মূল ঘাতককে গ্রেফতার করেছি। তারা অনেক কিছু স্বীকার করেছে। কীভাবে তারা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল, বাংলাদেশের কোথায় কোথায় তারা বৈঠক করেছিল, কলকাতায় এসে কোন কোন বাসায় ছিল, কী কী কাজ করেছিল- এগুলো যাচাই-বাছাইয়ের দরকার ছিল।
হারুন অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশের পেনাল কোডের ৩৬২, ৩৬৪ ধারা অনুযায়ী, মরদেহ, মরদেহের টুকরো বা অন্য কোনো অংশ উদ্ধার না হলে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হয়। সে কারণেই আমরা এসেছি। আমাদের মূল কাজটি ছিল বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো, কলকাতায় যে আসামি গ্রেফতার হয়েছে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা। পাশাপাশি, যে জায়গাগুলোতে তারা গিয়েছিল, সেখানে অভিযান চালানো। এমপি আনারের মরদেহ বা মরদেহের টুকরো যাতে পাওয়া যায়, সে কারণেই আমাদের এই তদন্ত চালাই। কারণ একটি মামলার নিষ্পত্তি করতে গেলে সুরতহাল, মেডিকেল রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট, আলামতের দরকার হয়।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ ছিল, আসামিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গে শেয়ার করা এবং তাদের কাজে সহযোগিতা করা। আমরা মনে করি, আমরা সহযোগিতা করতে পেরেছি এবং যে উদ্দেশ্যে এসেছিলাম- আলামত সংগ্রহ করা, সিআইডিকে সহযোগিতা করা, ডিজিটাল এভিডেন্স নিজ চোখে দেখা, কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া জিহাদ হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলে আমাদের দেশে গ্রেফতার আসামিদের বয়ান মিলিয়ে নেওয়া, কোথায় কোথায় গেছে সেগুলো খোঁজখবর নেওয়া- সেসব ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ সফল।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে এমপি আনারের দেহাংশের নমুনা বাংলাদেশে নেওয়া হবে বলেও জানান ডিবিপ্রধান।
# আকাশ

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD