একদা এইখানে সমুদ্দুর ছিল!
বিকেলটা প্রায়ই সেজেগুজে এসে কাছ ঘেঁষে বসতো!
সূর্য পাঠাতো চুমু
পৃথিবী পান করে অস্তরাগের ঠোঁট! সঙ্গমসুখের উচ্ছলতায়
এক আচাভুয়া বাতাসের গাল বেয়ে নামতো
শামুক কুড়ানো ক্ষণ!
ছিল বারোমাসে তেরো পার্বণীয় আয়োজন!
কবোষ্ণ প্রেমের অনুগ্রগন্ধে শ্যামলিমা চাষির মতো
শতবর্ষীয় আর্তির থালায় ঘাটে ঘাটে জমতো মেলা।
সোনার কলসের মতো আনচান প্রাণ;
পারিজাত সুবাসে ছুঁয়ে দিতো দূরগামী কাপালিক চাঁদ!
আজ ফণীমনসার মতো এ বাড়ন্ত বেলায়
খালাসির তাড়া নেই, নেই পায়চারি সুকানির।
ভূতগ্রস্ততায় মাঝেমাঝে চুপচাপ উড়ে যায়
প্রিয়হারা কিছু ম্লানমুখী মধ্যবয়সী মেঘ।
চারিদিকে ক্রোধানল, দাউদাউ ক্ষিপ্রতার লাস্যময়ী ভিড়।
পুরোনো দেয়ালের মতো লেগে থাকা সেইসব দাগ
নিসর্গ নয়; খরস্রোতা নদী হয়ে ঢেউভাঙে
বিহঙ্গ চোখে বিবসন ঔৎসুক্য; চেয়ে চেয়ে অন্ধকার।
এখন সুমুদ্দুর নয়; এখানে কেবলই হৃদয়পোড়ার গন্ধ।
{}{}বিবসন ঔৎসুক্য{}{}
বেনজির শিকদার
•••কবিতাটি এ সপ্তাহে সাপ্তাহিক ‘বাংলা পত্রিকা’র সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
Leave a Reply