আমার নির্মাণশিল্প
হাসনাইন সাজ্জাদী
।।
আমি গড়ছি অনন্তকাল আমাকে
টালমাটাল এক পৃথিবী করে
গড়ছি মাকড়সার জালের মত
আমার ঘরদোর পথঘাট
গড়ছি কলকারখানা বিশ্ব-বিদ্যালয়
পাহাড় পর্বত সাগর বৃক্ষ তরুলতা
আরো যা যাহাটছি আমি আমার তৈরি পৃথিবী দিয়ে
যেকোনো সময় আমার পৃথিবী
চুপষে যেতে পারে বেলুনের মত
সারাদিন এমন শঙ্কা নিয়েও হাঁটি তা নয়হেঁটে যেতে যেতে ভাবছি
আবার নির্ভাবনায়ও হাঁটছি আমি
কোনো কোনো দিন
হাঁটতে হাঁটতে আমি টের পাই
আমার পৃথিবীর তলদেশ জুড়ে কী কী ঘটছে!আমার পৃথিবী জুড়ে প্রবল ভূমিকম্প হয়
ঝড় জলোচ্ছ্বাসও ঘটে
খরা দুর্যোগ অতিমারি সবই এখন নিয়মিত
আবার আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটে কখনো
কিংবা বরফ গলে পড়ে আইস পর্বতমালা থেকে
আমি কোনো মতে পৃথিবীর সমতলকে
করি বিছানা আর বসে বসে দেখি তার ঘূর্ণায়নআয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে থাকি
প্রিয় শিশিরের কার্টুন দেখার মত করে
আমার চুলের পাক,চামড়ার কুচকে যাওয়া
আর চোখের নিচে কালি পড়া মুখ
সবই আমি দেখি পৃথিবীকে দেখার মত করেআমার চোখেমুখে এখন আর ভয় টেনশন
কোনোকিছুই নেই
নেই কোনো অজানা আশংকা
আয়নায় নিজের চেহারার অভিব্যক্তি
দেখার মত আমি এখন সবকিছুই
স্বাভাবিকভাবে দেখিআমি এখন পড়ার চেষ্টা করছি পৃথিবীকে
না,কোনও ভয় উৎকণ্ঠা রাগ ক্ষোভ হতাশা
থেকে নয়
সব কিছুকেই এখন আমি স্বাভাবিক গতিতে দেখি
যেমন আমার নির্লিপ্ত মুখ জুড়ে
কেবল দেখতে থাকি মানুষের স্বরূপআমার চোখজোড়া হয়ে গেছে
মাছের চোখের মত
মাছ যেমন জলের ভেতর তার রঙিন জগৎ
দেখতে পায়
আবার হঠাৎ সেখানে শিকারীর আনাগোনাওতার চোখে পড়ে,তেমনিদিনে দিনে আমার দৃষ্টি বদলে গিয়ে
ফিরে এসেছে চর্মচোখে প্রাচীন সভ্যতা
ফিরে এসেছে মহাকালের শূন্যতার মত
আদি ভাঙাগড়া বিগ-ব্যাং বিস্ফোরণ
আর যত আগামী সম্ভাবনা
বিবর্তন ধারায় চলে এসেছে
হাজার হাজার বছর ধরে …২৯/০৫/২০২২
শহিদ সলিমউল্লাহ রোড,মোহাম্মদপুর,ঢাকা -১২০৭
Leave a Reply