এস এম শাহনূর লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুল হালিম’র সুদান মিশন ও মুজিববর্ষ নিয়ে
সুদান মিশন ও মুজিববর্ষ” শিরোনামে ১২৮ পৃষ্ঠার বইটিতে ৭-৮ পৃষ্ঠায় ‘লেখকের কথা’ বিধৃত হয়েছে। যেখানে মিশন সংক্রান্ত তথ্যাদি, মিশন ও মুজিববর্ষে তিনি কী কী করেছেন,কেন করেছেন,কী পেয়েছেন,বইটি কেন লিখেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে লেখকের পারিবারিক অবদান এবং বইটি লিখতে যিনি কিংবা যারা লেখকে উদ্বুদ্ধ করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। বইটির মূল বিষয়বস্তুর বিশদ বিবরণে ৯ থেকে ৭৩ পৃষ্ঠার মধ্যে বিভিন্ন লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক প্রায় ৩৫১টি ছবি সংযোজিত হয়েছে। লেখার সাথে ছবির মিল থাকায় বইটি সুখপাঠ্য হয়েছে। ৭৪ থেকে ৭৭ পৃষ্ঠার মধ্যে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ মিশন থেকে যে সকল সম্মাননা /এ্যাওয়ার্ড / সার্টিফিকেট পেয়েছেন তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা রয়েছে। ২০১৯-২০২১ শান্তিরক্ষা মিশনে থাকাকালীন তিনি অনন্ত ৩৩টি সম্মাননা /এ্যাওয়ার্ড /সার্টিফিকেট পেয়েছেন। যা বিশ্বের সকল শান্তি রক্ষীদের জন্য এক বিশেষ অনুপ্রেরণা।
বইটির ৭৭ থেকে ৮১পৃষ্ঠার মধ্যে জুন/২০১৯ হতে এপ্রিল /২০২১ পর্যন্ত দারফুরে BNFPU কর্তৃক মিশন ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের পাশাপাশি তাঁর সার্বিক নির্দেশনা ও পরিচালনায় তারিখ অনুযায়ী আর্থ-সামাজিকমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাওয়া যায়। এটিকে মিশন চলাকালীন একটি ইউনিটের কাজের ফিরিস্তিও বলা চলে।
সুদান মিশনে নিয়োজিত থাকাকালীন মুজিববর্ষ ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সংবাদগুলো বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক /জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছাপা হয়। উল্লেখযোগ্য ৬০টি নিউজের ছবি সম্বলিত সংবাদগুলো বইটির ৮২ থেকে ১২৩ পৃষ্ঠার মধো পাঠক দেখে নিতে পারবে। যা দলিল হিসাবে সংরক্ষিত হবে। এবং কাজের প্রতি স্বীকৃতির সার্টিফিকেটগুলোর ছবি সন্নিবেশিত হয়েছে বইটির ১২৪ থেকে ১২৮ পৃষ্ঠার মধ্যে।
কাব্য নয়,গল্প নয়,উপন্যাস নয়,গবেষণা পত্রও নয়। এটি সুদান মিশনে নিয়োজিত এক কর্মবীরের লেখা কীর্তি কাহিনি। এখানকার প্রতিটি পর্ব অনুপ্রেরণাদায়ক এক একটি ছোট গল্প। লেখক যেহেতু বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য, তাই এটি সকল পুলিশ সদস্যকে পাঠ করা উচিৎ। লেখক যেহেতু জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্যের পাশাপাশি অধিক অবদান রেখেছেন, তাই বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত সকলকে এ বই পড়া উচিত। এই বই বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত সকলের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। কবি কুসুম কুমারী দাশ (আদর্শ ছেলে) লিখেছিলেন, “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।” বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে কবি বেঁচে থাকলে এমন কবিতা লেখার সুযোগ পেতেন না। কারণ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের মত সোনার ছেলেরা আছে। যাঁরা সত্যিকার অর্থেই কাজের কাজী। আমি লেখকের দীর্ঘ কর্মময় জীবন ও নেক হায়াত কামনা করছি।
লেখক: এস এম শাহনূর
কবি ও আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক।
Leave a Reply