বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের কারনে মাষ্টারদা সূর্যসেনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। যে কোনো দিন কার্যকর হবে। তাকে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে। অন্ধকার, ছোট্ট একটা ঘর। অন্য সব কয়েদীর সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
কিন্তু মাষ্টারদা ঐ কনডেম সেলে বসেও বিপ্লবী অন্য কয়েদীদের জন্যে চিঠি লিখতেন। তাকে কাগজ দেওয়া হতোনা। খাবারের জন্যে যে রুটি দেওয়া হতো সেই রুটি না খেয়ে ওটাতেই বিপ্লবের নির্দেশ দিয়ে চিঠি লিখতেন এই মহান বিপ্লবী। এক দেশপ্রেমিক ঝাড়ুদার ঐ চিঠিগুলো অন্যদের পৌঁছে দিতেন।
একরাতে মাষ্টারদা বুঝতে পারলেন পরেরদিন তার ফাঁসি কার্যকর হবে। তিনি শেষবার দেশের গান শুনতে চাইলেন, রুটিতে লিখা চিঠির মাধ্যমে অন্য বন্দীদের গাইতে অনুরোধ করলেন। চট্টগ্রাম কারাগারের শত শত বিপ্লবী যার যার সেল থেকে চিৎকার করে গাইলেন “যদি তোর ডাক শোনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে..”
আহা..দেশের প্রতি কি ভীষণ দরদ!
১৯৩৪ সালের ১২ই জানুয়ারি আরেক বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের সাথে ফাসি কার্যকর করা হয় এই মহান দেশপ্রেমিককে,পরে উনার মরদেহ সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়।
মাস্টারদাকে নিয়ে বলিউডে দুটি সিনেমা তৈরি করা হয়েছে
২০১০ সালে “খেলে হাম জি জান সে” ও ২০১২ সালে “চিটাগং” নামে ছবি গুলো মুক্তি পায়।
গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী স্বাধীনতার এই স্বপ্ন প্রেমিকের প্রতি ❤
লিখাঃ Rumel M S Pir
Leave a Reply