বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ থাকবে অরো ১৪ দিন।

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ থাকবে অরো ১৪ দিন।

সীমান্ত

ভারতের কোভিড–১৯ সংক্রমণের ব্যাপকতায় দেশটির সঙ্গে স্থল সীমান্ত বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়িয়েছে সরকার। এর মধ্যে যাত্রী চলাচল বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত বন্ধ রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তখন দুই সপ্তাহ সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের খবর সামনে আসার পর সীমান্ত বন্ধ রাখার মেয়াদ বাড়ানো হলো।

তবে বাংলাদেশের যে নাগরিকেরা চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন এবং যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিনের কম—শুধু তারাই বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলার বাংলাদেশ মিশনের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে।

আজ পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চ্যুয়াল সভায় স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস বিকেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে যশোরে ভারতফেরত দুই বাংলাদেশির শরীরে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে নমুনা সিকুয়েন্সিং করে শনিবার (৮ মে) দুপুরে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভারতফেরত করোনার রোগীর নমুনায় ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ল্যাবে কিছু সিকোয়েন্স করে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স করার প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি আমরা আইইডিসিআরকে (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) জানিয়েছি। পাশাপাশি যশোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করেছি।

যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে ভারতফেরত ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্টের (বি-১.৬১৭.২) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তবে এটি ডাবল মিউটেশন নয়। যেহেতু একটি এসেছে, ফলে ডাবল মিউটেশন বা অন্য ভেরিয়েন্টও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD