মৌলবাদের আস্ফালন এবং আইনের শাসন
।।
মৌলবাদীরা নারীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে।যেখানে তাদের কাজ হওয়া উচিৎ ছিল ধর্ষকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো,সেখানে তারা সুযোগ পেলেই নারীর শালীনতায় হাত দিচ্ছে।নারী অধিকারকে বিতর্কিত করছে।এদের মুখোশ খুলছে সময় সময়।
মানুনুল ধরা পড়ার পর রাজনৈতিক মৌলবাদ চুপসে গিয়েছিল অনেকাংশে।পরীমনি লাঞ্ছিত হবার পর এদের পশুত্ব আবার চাগাড় দিতে শুরু করে।তারা মুক্তচিন্তা ও বাঙালি সংস্কৃতির উপর পাকিস্তানি ও আফগানি সংস্কৃতিকে বসিয়ে দিতে তৎপর হয়ে ওঠে।যেনো সে জীবনে ফিরে গেলেই পৃথিবী স্বর্গ হয়ে যাবে।
অথচ এসব দেশেই নারী নির্যাতন বেশি।আফগানিস্তানে এক অসহায় নারী চাকরিতে যাবার অপরাধে চোখ হারিয়েছে মোল্লাদের হাতে।এটাই জঙ্গি সংস্কৃতি।
জাপান,নেদারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে ধর্মের আধিপত্য নেই।সেখানে নারী নির্যাতন নেই।মানবতা সবচেয়ে বেশি সুসংহত সে দেশগুলোয়।আমাদের মূল কাজ মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করা।
নারীকে অধিকার সচেতন করা।তসলিমা নাসরিনকে দেশে ফিরিয়ে আনার কথা লেখাতে আমার এক কবি বন্ধু আইরিন খান আমাকে পাগল বলে তসলিমার ফাঁসি চেয়ে মন্তব্য করে আমার স্ট্যাটাসে।
তসলিমা রোজার বিরুদ্ধে সেদিনও লিখেছে বলে জানায়।আমি তখন বলি ‘আপরার প্রতিদিনের সাজুগুজুর যে ছবি আমরা আপলোড হতে দেখি তা নারী অধিকার থেকেই হচ্ছে।এটা আপনার রোজার সংস্কৃতি নয়।রোজার সংস্কৃতি হিজাব,বোরকা ও আলখেল্লা।তখন সে কিছুটা নমনীয় হয়।
তারপরও ফেসবুকে সে নারী আল্লাহর বিশেষ নিয়ানত বলে কবিতা লেখে।মানুষ হিসাবে সামাজিক সমতা বা সমানাধিকার চিন্তা এখনো তার মাথায় আসেনি।
নারী নিজেই যদি তাকে আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত ভাবে তবে পুরুষ জাতি তো বলবে ‘আমরা আল্লাহর কোনো নিয়ামতকেই অস্বীকার করতে পারি না।আগে নারী জাতিকে সোচ্চার হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মহাবিশ্ব পদার্থ বিদ্যার সূত্র মেনে চলেছে – এনামুল হক
নাসির ধরা পড়াতে মৌলবাদের হেফাজতিরা আবার চুপসে যেতে শুরু করেছে।আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেলে ওদের নারী বিদ্বেষ ও পুরুষালি সহিংসতা কমে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
Leave a Reply