আমার মা
মুস্তফা হাবীব
দখিন বাংলার একটি ছোট্ট গ্রাম মিয়ার চর
আষাঢ় শ্রাবণের জলে ঘিরে রাখে চারপাশ,
পূর্বে আনন্দধারা নদী দখিনে পবিত্র বাতাস।
এখানেই জমিদার আব্দুল সিকদারের বাড়ি,
সে যে গোলার ফসল বিক্রি করে রূপার মুদ্রায়।
হ্যাঁ, তার লাজুক শান্ত সরল নাতিন আমার মা,
যার আদরে নির্বিঘ্নে দেখেছি পৃথিবীর আকাশ।
বড় কোনো ঝড় ঝঞ্জার মুখোমুখি না হয়ে আজ
সহজ জীবন পথের সিঁড়ি বেয়ে অশীতিপর।
আমার মা শাশ্বত প্রদীপ, এক চন্দ্রের উপমা
অতীতে এমন কোনো অপয়া স্মৃতি দেননি জন্ম
যাতে ঘাসফুলেরা কষ্টে নুইয়ে পড়েছে ধুলোয়
অথবা কেঁদেছে দোয়েল কোয়েল পাপিয়ার ছানা।
দুধসাদা, ফিরোজা আর প্রকৃত সবুজ শাড়িতে
স্বজনের বাড়ি আসা যাওয়ায় খুঁজে পায় তৃপ্তি।
মায়ের একমাত্র আশা সন্তান স্বজনের সুখ
প্রিয় স্বপ্ন শখ, নিজে না খেয়ে পরকে খাওয়ানো।
আমার মাকে পাড়ার অধিক মানুষ ভালোবাসে
আমিও ভালোবাসি বিনম্র শ্রদ্ধায়, নিপুণ ধ্যানে।
Leave a Reply