মনে পড়ে
বিখ্যাত সুরকার
অনিল বিশ্বাসকে?
সংগীত নিয়ে বিখ্যাত সুরকার অনিল বিশ্বাসের কর্মজীবন ১৯৩২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত।
অনিল বিশ্বাসের জন্ম ১৯১৪ সালের ৭ জুলাই বরিশালে।
অনিল বিশ্বাসের মৃত্যু ৩১ মে, ২০০৩ দিল্লিতে।
অনিল বিশ্বাসের সুরারোপিত উল্লেখযোগ্য ছবি ঃ রোটি (১৯৪২), কিসমত (১৯৪৩),
আনোখা পেয়ার (১৯৪৮), তারানা (১৯৫১),
ওয়ারিস (১৯৫৪), পরদেশি (১৯৫৭),
চার দিন চার রাহে (১৯৫৯)।
অনিল বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রীর নাম আশালতা।
দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম মীনা কাপুর।
১৯৯৮ সালে নিউ দিল্লিতে গিয়ে অনিল বিশ্বাসের সাথে দেখা করি।
অনিল বিশ্বাসের সাথে কিছু কথা হয়, তা নিয়ে ২০০০ সালের ১৬ জুলাই একটা লেখা দিই বাংলাদেশের পত্রিকা মুক্তকণ্ঠে। মুক্তকন্ঠে প্রকাশিত লেখাটি নিম্নে পুনঃউল্লেখ করা হলো ঃ
বরিশালের সন্তান বিখ্যাত সুরকার অনিল বিশ্বাস কেমন আছেন?
হিন্দি গানের বিখ্যাত সুরকার এখন থাকেন দিল্লিতে। আশির কোঠায় তাঁর বয়স। এখনকার জীবন তাঁর কাছে মৃত বলে মনে হয়। অনিল বিশ্বাস বলেছিলেন , সবাই তো একে একে চলে যাচ্ছি – এখন তো যাবার সময়।
অনিল বিশ্বাসের কাছে অতীত বড়ো সুখকর, বড়োই আনন্দের। অনিল বিশ্বাস বলেছিলেন , বাংলাদেশের বরিশালে আমার জন্ম। নিজ জন্মস্থানে জীবনে কোনোদিন যাওয়া হবে না। আজ বারে বারে মনে পড়ে শৈশবের কথা…। মনে আছে ছোটোবেলায় তবলা বাজাতাম, গান গাইতাম। কলেজজীবনে এসে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়লাম। বাংলার সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের শরিক হয়ে কয়েকবার জেলেও গিয়েছিলাম। সেটা ছিল ত্রিশের দশকের গোড়ার কথা।
আমার সঙ্গে অনিল বিশ্বাসের দেখা হয় ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাসে। আমার জন্মস্থান বরিশাল জেলায় শুনে উঁনি আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। সেই স্পর্শ আজও অনুভব করি বারে বারে ।
অনিল বিশ্বাস বলেছিলেন , ‘১৯৩৪ সালে বোম্বাই চলে গেলাম। ১৯৩৫ সালে ‘বাল হত্যা’, ‘ভারত কি বেটি’, ‘ধরম কি দেবা’ ছবিতে প্রথম সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলাম। এরপরে আমার সংগীত পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে কয়েকটি হলো – ‘জাগিরদার’, ‘গ্রামোফোন সিঙ্গার’, ‘জীবনসাথি’,‘অভিলাষ’, ‘হম তুম ঔর ওহ’, ওয়াতন’, এক হি রাস্তা’, ‘আওরত’, ‘রোটি’, ‘
কিসমত’, ‘ওয়ারিস’, ‘রাই’ প্রভৃতি।’
একসময় জানতে চাইলাম, নৌকাডুবি ছবির কথা বলবেন না?
উঁনি হাসলেন। ‘সে তো ১৯৪৭ সালের কথা….. ওই ছবির সুরকার ছিলাম, গানও লিখেছিলাম। কবিগুরুর গান তো ছিল – ই। আলোকচিত্রে ছিলো ঢাকার সন্তান রাধু কর্মকার। কি, ওর নাম শুনেছো তো?’
লিয়াকত হোসেন খোকন,
রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Leave a Reply