শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন

ভুলে ভরা বাংলাদেশের নদী বিষয়ক গ্রন্থগুলো -হাসনাইন সাজ্জাদী

ভুলে ভরা বাংলাদেশের নদী বিষয়ক গ্রন্থগুলো -হাসনাইন সাজ্জাদী

 

নদী বিষয়ক সঠিক গ্রন্থ চাই

।।
ভারত বাংলাদেশের একটি আন্তঃসংযোগ নদীর নাম জুড়ী নদী।কোনো কোনো জায়গায় তা জুরি নদী বা জুরী নদী বানানে লেখা হয়।প্রকৃত পক্ষে জুড়ী নদীর ভুল উচ্চারণ এটি।জুড়ী নদী আগে জুড়ী বাজারকে দুই ভাগে ভাগ করে এক অংশ কুলাউড়ায় এবং এক অংশ বড়লেখায় ছড়িয়ে রেখেছিল।এখন তা একক জুড়ী উপজেলার মধ্যবর্তী নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ।
জুড়ী নদীর অর্থ হলো জোড় নদী বা মিল নদী।উত্তর ত্রিপুরার পর্বতের দু’দিক থেকে দু’টি স্রোত ধারা নেমে এসে এ নদীর নাম হয়েছে জুড়ী নদী। জোড় নদী অর্থে।দু’ নদীর মিলন বা দুই নদীর মিলে যাওয়া বলেও এ নদীর নাম জুড়ী হতে পারে।এ নদীর দৈর্ঘ ৭৩ কিলোমিটার আর প্রস্ত ৫৩ মিটার।তবে শহরের ভিতরে এখন আর ৫৩ মিটার নেই।ভরাটে বেদখলে এখন তার পরিমাণ কমে এসেছে।জুড়ী নদী একটি সর্পিলাকার নদী।
আমাদের জাতীয় নদী হিসাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকায় ৩৩ নং জাতীয় নদী হিসাবে তার পরিচিত লিপিবদ্ধ।এ নদীর বর্ণনায় ভুল হওয়া ছাড়াও আমাদের
নদী বিষয়ক গ্রন্থগুলোর অধিকাংশই ভুল তথ্যে ভরা।

গ্রন্থগুলোতে জুড়ী নদীকে ভারতের উত্তর ত্রিপুরা থেকে উৎপত্তি হয়ে কুলাউড়া উপজেলার ধর্মনগর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলা হয়েছে।অথচ ভারতের উত্তর ত্রিপুরা রাজ্যের একটি জুড়ী সংলগ্ন শহর ধর্মনগর।বাংলাদেশের কুলাউড়া উপজেলা থেকে ধর্মনগর অনেক দূরে।
জুড়ী নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর হয়ে বাংলাদেশের ফুলতলা -রাঘনা -বটুলী সীমান্ত ঘেষে। তারপর সীমান্ত রেখা দিয়ে আরেকটু এগিয়ে বরইতলি -শিলুয়া অঞ্চলে এসে তা পুরোপুরি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।কুলাউড়া নয় তা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে জুড়ী উপজেলা দিয়ে।
তবে অনেকটুকু পথ জুড়ী নদী এসেছে দুই দেশের সীমানা দিয়ে।তারপর এসে পড়েছে হাকালুকি হাওর হয়ে ফেঞ্চুগঞ্জের নিকটে কুশিয়ারা নদীতে।
এসব সঠিকভাবে লিখতে হলে দেখতে হয়।দেখতে হলে সরেজমিনে যেতে হয়।জুড়ী নদীর ইতিহাস সব গ্রন্থ,সিলেটপিডিয়া কিংবা উইকিপিডিয়া একইভাবে ভুল করে লিখেছে।লেখার ধরন দেখলে মনে হয় সবই কপি পেস্ট। আমরা বাংলাদেশের সকল নদ-নদীর সঠিক ইতিহাস চাই…
সঠিক ইতিহাস চাই…

জুড়ী নদী নিয়ে আমার পদ্য

জুড়ী নদীকে মনে পড়ে
।।
বরমচালপ্রাপ্ত তাম্রলিপিতে
ইতিহাস কালের জুড়ী গাঙ
জুড়ী নদী এখন সে
সবাইকে জানিয়ে দিলাম।

নদীর নামে উপজেলা
জুড়ী তার নাম
মহালদার বলে তাদের
বাঁশ লোপাটই কাম।

গাছ-বাঁশের প্রাচীন ব্যবসা
জুড়ীতেই দেখা যায়
কামিনীগঞ্জ ভবানীগঞ্জ
জুড়ী নদীর মোহনায়।

জুড়ী থেকে পাবিজুড়ী
নদী নামে বেরিয়েছে
কণ্টিনালা নামে যদিও
আসলে কিন্তু নদীসে।

এত নদী মিলিয়ে জুড়ী
জুড়ীতো নদীরই দান
জুড়ীবাসী নদীর মতোই
বিশ্ব জুড়ে চলমান।

বুকের ভেতর নদীগুলো
বয়ে যায় ছলাৎছলাৎ
জুড়ীর ছেলে আমি ভাই
জুড়ী নামেই বিচঞ্চল।
………………………..
ছবি সংগ্রহীত হয়েছে আমেরিকা প্রবাসী প্রিয় ভাই,সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এডভোকেট সিরাজুল ইসলামের ফেসবুক আইডি থেকে …

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD