শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

বিদায় ফাদার রিবেরু -থিয়ফিল নকরেক

বিদায় ফাদার রিবেরু -থিয়ফিল নকরেক

বিদায় ফাদার রিবেরু -থিয়ফিল নকরেক

ফাদার বিকাশ রিবেরু না ফেরার দেশে।।
শোক ও শ্রদ্ধা।। তুমি রবে নীরবে।।


১৯৮৯ সালে রমনা সেমিনারীতে প্রথম দেখা বিকাশ রিবেরুর সাথে। এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে সে দিনাজপুর সেমিনারী থেকে এসেছিল পড়তে ফাদার হতে। বিএ পাশ পরীক্ষা দিয়েছি একসাথে ১৯৯২ সালে। তারপর বুলাকীপুর একবছর অবস্থান একই বছর। আমাদের সবার কাছে দোস্ত হিসেবে পরিচিত।

একসাথে যাজক পোষাক ১৯৯৫ সালে। কতো স্মৃতি আমাদের। ১৯৯৮ সালে বিকাশ রিবেরু, উইলিয়াম মূর্মূ পরে রাজশাহীর অভিষিক্ত যাজক দুজন্ই ও আমি ঢাকার আর্চবিশপ হাউজে আর্কাইভে একসাথে কাজ করছিলাম। আমি সেখানে মেরুদন্ডে ব্যাথা পেয়েছিলাম। বিকাশ রিবেরু আমি পড়ে গেলে এসে তোলে বলল,‘দোস্ত কী হয়েছে? কোথায় ব্যাথা লেগেছে?’ তারপরও অনেক স্মৃতি। আমি যশোর যাবার পথে মুলাঢুলিতে ফাদার বিকাশ পাল পুরোহিত থাকার সময় গেলাম। দেখা হওয়ার পর বলল,দোস্তা খুব খুশি আজ। তোমার জন্য কি মারবো? গরু না খাসি? সে পান খেতে খুব পছন্দ করতো। সেখানে তার দেয়া পান খেলাম।

একবার সিডিআই টীম নিয়ে রাজশাহী গেলাম। পথে ফিরার সময় বনপাড়াতে ঢুকলাম। আমাদের জন্য অনেক আম কেটে দিলেন। আমাদের একজন কাঁঠাল খেতে ভালোবাসতো। তখন বললাম,‘ দোস্ত কাঁঠাল নাই?’ ‘আরে কি বল দোস্ত! কাঠাল আর কি দিবো। এখানে সব কাঁঠাল পচতেছে। তারপর সে বড় একটি কাঁঠাল খেতে দিল আমাদের। গত বছর কথা হলো মোবাইলে। অনেক কথা। করোনা শেষ হলে আবার বনপাড়া যাবো এবং মজা করবো। কিন্তু সেটা আর হল না।

আজ দুপুরে ফাদার লিটন গমেজ,সিএসসিকে বললাম চলো ফাদার বিকাশকে দেখে আসি। সে বলল, ‘আমি খবর নেই, দেখা করতে দেবে কিনা? কিন্তু শেষ দেখা হল না। ততক্ষণে পিতার কাছে তোমার গমন। দোস্ত তোমাকে অনেক মিস করবো। তুমি অসময়ে চলে গেলে। যেখানেই থাকো ভালো থেকো। ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD