আমি হতাশায় আছি
তবে আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধু
-হাসনাইন সাজ্জাদী
।।
এখনো বাংলাদেশকে মেনে নিতে যাদের কষ্ট হয়, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম যারা স্বাধীনতার ৫০ বছরেও একবারও সম্মানের সঙ্গে স্বীকার করেনি।উল্টো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিয়ে,শেখ হাসিনাকে নিয়ে খিস্তি খেউড় করে,তাদের কারো কারো সঙ্গে আমার রক্তের সম্পর্ক বিদ্যমান।আমি হার্টের রোগী জানার পরও তারা আমার সামনে অসম্মানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নাম নেয় এবং অশালীনভাবে এখনো সমালোচনা করে।
এতদিন আমি তাদের সঙ্গে তর্ক করেছি বীরের মত।এখন আমি শারিরীক,মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত একজন মানুষ এবং দলীয় ১০ টাকার সুবিধা আমি কোনোদিন গ্রহণ করিনি,কেউ দেয়ও নি।
এতদিন যা করেছি চেতনা,বিবেক ও জ্ঞান থেকে করেছি।কোনো বিনিময় থেকে নয়।
আমি এখন আর কারো সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করার সামর্থ রাখি না।তাই আমি এখন অন্তর থেকে তাদেরকে ঘৃণা করতে শুরু করলাম।তাদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রাখতেও আমি কষ্ট পাচ্ছি।কিন্তু পারিবারিক সম্পর্ক রক্ষার বিকল্প নেই।আমি এখন সামাজিক আলোচনায় শিল্প,সাহিত্য,দেশপ্রেম,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,বাঙালি জাতিসত্তা,আওয়ামী লীগ,নৌকা ইত্যাদি প্রসঙ্গে কথা বলা কমিয়ে দিতে মনস্থির করেছি।
এটা আমার অক্ষমতার কথা যা আমি পরিস্কার করে বলেছি।সামাজিক কথা উল্লেখ করেছি।তবে আমার পেশাজীবি চরিত্র যেমন সাংবাদিক হিসেবে লেখালেখি দলের পক্ষে এবং কবিতায় বঙ্গবন্ধুর চর্চা অব্যাহত থাকবে।আদর্শের চর্চা অব্যাহত থাকবে।আমার আরেকটি প্লাটফর্ম জাতীয় কবিতা পরিষদ,সেখানে আমার ভুমিকা আগের মতই আছে এবং থাকবে।সুতরাং সুবিধাবাদীদের চরিত্রে আমি নই।সময় খারাপ দেখে যারা চুপ মেরে যায় আমি তাদের দলে নই।
নিজে চুরি করতে না পারলেও আমি দলীয় চোরদের বিরুদ্ধেও নই।আমি ভিন্ন ধাঁচের মানুষ।মানুষের চরিত্রে চুরি একটি বৈশিষ্ট্য এবং এখন তা বেড়েছে মাত্র।তাই আমি এগুলো আমলে নেই না।আমার কাছে চেতনাই সব।আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে রাষ্ট্রের মূল জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তাই আওয়ামী লীগ বিহীন বাংলাদেশ আমি কল্পনা করি না।
সবার কল্যাণ হোক…