বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন

পুশব্যাক সাম্প্রদায়িক বর্বরতা

পুশব্যাক সাম্প্রদায়িক বর্বরতা

পুশব্যাক সাম্প্রদায়িক বর্বরতা

পুশব্যাক সাম্প্রদায়িক বর্বরতা।।

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের এক যুবক কে গ্রেফতার করা হয়েছিলো মরা মানুষের কলিজা খাওয়ার অপরাধে।


ক্যানিবালিজম শব্দটির সাথে আফ্রিকার মত বাংলাদেশের মানুষ ঠিক তেমন একটা পরিচিত নয়। ক্যানিবালিজম শব্দের অর্থ এরা না জানলে ও ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানী , মানুষ হত্যা ও মন্দির / মসজিদ পুড়িয়ে দিতে এরা বেশ পটু।

ক্যানিবালিজম শব্দের অর্থ হচ্ছে নরমাংস ভক্ষণ। প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর মৃত মানুষের কলিজা খাওয়া বাঙালির ছবিটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৫ সালে। ছবিতে দেখা যায়, সে মৃত মানুষের কলিজা ছিড়ে খাচ্ছে। ২০০৫ সালে মারা যাওয়ার আগে এই মানসিক প্রতিবন্ধী বেশ কয়েকবার গ্রেফতার ও হয়েছিলো।


১৯৭৫ সালে সংবিধানে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাস্তবায়ন কারী একদল মানসিক প্রতিবন্ধী শয়তানের দল বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান কে স্ব-পরিবারে হত্যা করে। পৃথিবীর ইতিহাসে এতো নির্মম ও নৃশংস ঘটনা নেই বললেই চলে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শোনার পর আরেক খুনী মেজর কোন অ্যাকশন না নিয়ে বলেছিলো , So what !!
Vice president is there !!!
পরবর্তীতে সেই খুনি অস্ত্রের জোরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও হয়েছিলেন।।

ছোটবেলায় এই নির্মম হত্যাকাণ্ড পড়তে পড়তে আর শেখ হাসিনার অশ্রুসজল চোখ দেখতে দেখতে ভাবতাম , এই পৃথিবীর মধ্যে লোমশ আর্মাডিলো প্রাণীর চেয়ে ও বাংলাদেশের মানুষ ভয়ংকর ঘুমকাতুরে ও আলসে।


আর্মাডিলো ও আফ্রিকার গেছো স্লথ দৈনিক গড়ে ১৫ থেকে ২০ ঘন্টা ঘুমালে ও বাঙালি ঘুমিয়ে থাকে ২৪ ঘন্টা। এই বাঙালি শেখ মুজিব ও গো আযমের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখেনা। বাংলাদেশ ও ফাকিস্তান এদের কাছে এখনো একদেশ মনে হয়।।

অস্ট্রেলিয়ার যেই গবেষক দল আর্মাডিলো নিয়ে গবেষণা করেছেন উনারা যদি বাংলাদেশের মানুষ নিয়ে গবেষণা করতেন , তবে অসংখ্য চমকপ্রদ তথ্য পেতেন।


এক বাঙালির মৃত মানুষের কলিজা খাওয়ার ছবি দেখে এই বাঙালি নিশ্চয় জাল পরা বাসন্তীর ছবি ও ভূলে যাবে। কিন্তু এই বাঙালি জানেনা , আফ্রিকায় মাওরিস আদিবাসীরা পঞ্চাশের দশকে ও মৃত মানুষের মগজ পর্যন্ত খেতো । আইন করে ও এদের থামানো যেতোনা।


কম্বোডিয়া , ফিজি , রাশিয়া ও জার্মানির আদিবাসী ও ভারতের অঘোরী সন্নাসীরা এখনো মৃত মানুষের মাংস খায়।
শুধুমাত্র আফ্রিকার কঙ্গোতে মৃত মানুষের মাংস খাওয়া হয় এমন তথ্য সঠিক নয়। ফিজির সিকাটোকার নাইহেহে গুহায় মানুষ যে মানুষ ভক্ষণ করতো তার অসংখ্য প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।।

কিন্তু খাঁচার ভিতর ১৬ ঘন্টা ঘুমানো সিংহ রাজনীতিবীদদের চরিত্র আজো বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারলোনা। বঙ্গবন্ধু কে যারা হত্যা করেছে এবং যারা এই হত্যাকাণ্ডে সমর্থন দিয়েছে এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছে এরা কেউই মুলত মানুষ ছিলোনা। এরা সবাই ছিলো মানুষ নামধারী পশু।।।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে এই দেশে জন্ম নিলো ক্যানিবালিজম নামের নব্য সাম্প্রদায়িকতা তথা মানুষ হয়ে মানুষের মাংস ভক্ষণের নতুন রাজনীতি। এই নরখেকো রাজনীতির উদ্ভাবক খুনী জিয়া। রাজাকার শাহ আজিজুর রহমান কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করা হলো । বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে ক্যানিবালিজম কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হলো। একে একে এই খুনীর ভয়ে দেশের মানুষ সব ইঁদুরের গর্তে ঢুকে পড়লো।


শুরু হলো ইসলামোফোবিয়ার এক জঘণ্য রাজনীতি।।।

রাজনীতি নিয়ে আমি এখন আর খুব একটা ভাবিনা। কিন্তু বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ শেখ হাসিনার জীবন নিয়ে আমার খুব ভয় হয়। ১৯ বার বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বলেই হয়তো এতো শোক সয়ে এখনো বেঁচে আছেন।।
শেখ হাসিনার জায়গায় অন্য কোন মানুষ হলে পারমাণবিক বোমা মেরে এই জাতি কে বহু আগেই ধ্বংস করে দিতো।।

আমার বুড়ি যখন বলে , ওর বাবা ও মা কেউ বেঁচে নেই। ইচ্ছে করে শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরি। আমার বুড়ির যখন বলে , ওর ঘুম হয়না ।


তখন ভাবি , এই ঘুমকাতুরে বাঙালি দেশটা জাহান্নামে গেলে ও একটি সভ্য সমাজ গড়তে কখনো এগিয়ে আসবেনা। এই ঘুম কাতুরে বাঙালি সারাদিন ঘুমিয়ে রাতে ইঁদুরের মত গর্ত থেকে বের হয়ে এসে সিংহের গর্জন ছাড়ে।।
বড় আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর এই ধর্মান্ধ বাঙালি।


এরা বখতিয়ারের ঘোড়ার পেছনে ছুটে কিন্তু নিজ দেশের জাতির জনকের সঠিক ও যথার্থ মূল্যায়ন করতে জানেনা।।
কিন্তু আমৃত্যু আমার বুড়ি পরম শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় আমার বুকে নিরাপদ থাকবে। এটা আমাকে করা আমার ওয়াদা।।

রাশিয়ার দিমিত্রি ও তার স্ত্রী নাতালিয়া ত্রিশজন মানুষ কে হত্যা করেছে।এরা স্বামী ও স্ত্রী মিলে মানুষের মাংস ভক্ষণ করতো। বাংলাদেশে ও এমন একটি পরিবার হাওয়া ভবন করে ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা কে হত্যা করতে চেয়েছিলো শুধুমাত্র ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য। আইভি রহমানের ক্ষত বিক্ষত দেহের কথা নিশ্চয় বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি।

মানুষ খেকো মানুষের বিপরীতে বুড়ো ও বুড়ির পান্তাভাত ও কাঁচামরিচের সংসারে বঙ্গবন্ধু সবসময় আশার প্রদীপ তথা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের আদর্শ হয়ে তারার মত উজ্জল হয়ে থাকবেন।
বিপ্লবী লেলিনে মুগ্ধ হওয়া বাঙালি একসময় বঙ্গবন্ধু তে ও মুগ্ধ থাকবে । লেলিনের ” হোয়াট ইজ টু বি এর বিপরীতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও একদিন মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক হবে।

চা খেয়ে বাকী অংশটুকু লিখবো।।

ইতালির পেত্রাক ও বোকাচ্চির মত মানবতাবাদের উজ্জ্বল নক্ষত্র বঙ্গবন্ধু । এই মানবিক বাঙালি বঙ্গবন্ধুর এক ঘোষণায় কলম ছেড়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলো।


৪০০ বছরের রেনেসাঁর ইউরোপ আর পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশ এক কথা নয়। ১৯৭২ সালে ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের সংবিধান রচনা করে সেই বাংলাদেশে রেনেসাঁ যুগের শুরু করে দিয়েছিলেন শেখ মুজিব। ইতালির মত মন্দির ও গীর্জা এবং মসজিদে বাংলাদেশে ও ধর্ম নিরপেক্ষতার শিক্ষা দেওয়া হোক।


৭২ এর সংবিধান কে প্রতিটি শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ে সংযুক্ত করা হোক। প্রতিটি স্কুলের দেওয়ালে দেওয়ালে ৭৪ সালের ইন্দিরা ও মুজিব চুক্তির পূর্ণাঙ্গ চিত্র ছবি আকারে লেখা হোক।।


কাজী নজরুল ইসলামের ” সবার উপরে মানুষ সত্য ” এই বাণীটি বাঙালির প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হোক। ক্যানিবালিজম কে বাংলার মাটিতে কবর দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা কে চিরতরে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। আমাদের সুজলা সুফলা শস্য শ্যামল বাংলাদেশ হোক প্রতিটি মানুষের নিরাপদ এক বাংলাদেশ।


গোয়েবলসীয় তথ্য দিয়ে জাতি কে বারবার বিভক্ত করা মানুষ খেকো শুয়োরদের চিন্হিত করে এদের চিরতরে লাখো শহীদের পবিত্র বাংলায় নিষিদ্ধ করা হোক।।

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি , মিকেঞ্জেলো ও রাফায়েলদের এক নতুন বাংলাদেশ হোক। যে বাংলাদেশ পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের মত আমৃত্যু দেশ , মাটি ও মানুষের কথা বলে যাবে।
প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও হেনরী কিসিঞ্জার এর ষড়যন্ত্রে নিহত বঙ্গবন্ধু কে প্রতিটি ঘরে ঘরে চর্চার মাধ্যমে একদিন এই পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ হবে আলোকিত এক বাংলাদেশ।।।

” রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো।”
আমরা যখন মরতে শিখেছি , তখন কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেনা।।
নতুন প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের শপথ নিন।
বাংলাদেশ ফোর্স ১৯৭১ কে প্রোফাইল পিকচার করে আমৃত্যু এই লড়াইয়ে অংশ নিন।
র্যাসিজম ও ফ্যাসিজমের কবর দিন স্বাধীন বাংলায়।।।

সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এর জন্য আমৃত্যু রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি আমি।।
এই বাংলাদেশ মানুষ খেকো গো আযমদের নয় , এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।।।

ওমর ফারুক শুভ।।
আলো আসবেই।।
আলফ্রেড নোবেল।।
বাংলাদেশ ফোর্স ১৯৭১।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD