বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

খাইয়া ছাইড়া দিছি। ওমর ফারুক শুভ

খাইয়া ছাইড়া দিছি। ওমর ফারুক শুভ

খাইয়া ছাইড়া দিছি

খাইয়া ছাইড়া দিছি


কনডম প্রস্তুতকারক ড্রুরেক্স বলছে , পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি গড়ে ১৬৪ বার যৌনমিলন করেন গ্রীসের মানুষ , বাংলাদেশ নয়। যৌনতা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো আদিম ও সার্বজনীন একটি বিষয়।


যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের অধিবাসীরা যৌনাঙ্গের অদ্ভুত সুন্দর সুন্দর নাম পর্যন্ত রাখেন। কিন্তু আমাদের দেশে এটা অশ্লীলতা ও নোংরামী ছাড়া আর কিছুই নয়।


মেলে মাই মন্ত্রে দীক্ষিত এই দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীরা যৌনতার পুঁজা করেন।


জাপানের এক তৃতীয়াংশ পুরুষ বলছেন , কাজের পর তারা এতোটাই ক্লান্ত থাকেন যে তাদের যৌন মিলন করতে ইচ্ছে করেনা।
এমন কি সেই দেশের ৪৫ শতাংশ মানুষ বলছেন , তারা কোনদিন যৌন মিলন করেন নি।


দক্ষিণ কোরিয়ার অধিকাংশ নারী বাচ্চা পর্যন্ত নিতে আগ্রহী নন।


কিন্তু আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে যৌনতা মানেই হচ্ছে কল্পনায় ও বাস্তবে নারীকে ধর্ষণ।


কেন এই দেশের মানুষ তাদের ভেতরে মনুষ্যত্ব লালন না করে এমন কামুক ধারণা লালন করেন? আধুনিক প্রজন্ম অসংখ্য যৌনরোগে ভুগছে কেন ? কেন মানুষ হয়ে পশুর মতো আচরণ এই দেশের খুব বড় একটা অংশের পুরুষের ?

এর প্রধান কারণ হচ্ছে ধর্ম।
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম আমাদের দেশে আসার পর মানুষের মধ্যে চারটা বিয়ের প্রবণতা ও সতী প্রবণতা খুব জনপ্রিয় হয়। বাল্যবিয়ের প্রবণতা ও ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।


নারীকে তার কুমারিত্ব পরীক্ষা দিতে হয়। একটু বয়স হয়ে গেলে সেই নারীর কুমারিত্ব নেই এইভেবে অধিকাংশ পুরুষ বিয়েই করতে চান না।

ব্রাজিলের মোহিনাকু গ্রামে এখনো একজন নারীর অধিক প্রেমিক পুরুষ থাকলে তাদের প্রতিযোগিতা করে সেই নারীর স্বামী হতে হয়।
যিনি সবচেয়ে বড় মাছ এনে দিতে পারবেন তিনিই তার স্বামী হবেন।


অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার গ্রামাঞ্চলে এখনো নারীদের বগলের গন্ধওয়ালা আপেল যেই পুরুষ কামড় দিবে তাকেই স্বামী হিসেবে যোগ্য বিবেচনা করা হয়।

কলম্বিয়ার গুয়াজিরো উপজাতিরা এখনো নাচতে নাচতে পুরুষ কে মাটিতে ফেলে দিতে পারলে তাকেই স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেন।

কিন্তু আমাদের দেশে এখনো আদিম যুগের মতো নারীদের কুমারীত্ব পরীক্ষা দিতে হয়। কুমারিত্ব না থাকলে সেই নারীকে বেশ্যা বলে পুরুষ। পুরুষের নিজেদের চরিত্র পরিবর্তন না করে অন্যকে বেশ্যা সাজানোর এই হিংস্র পশুসুলভ মানসিকতা থেকেই ” খাইয়া ছাইড়া দিছি ” এই বাক্যর উৎপত্তি।।

নিজেদের শরীরের বীর্য নারীদের শরীরে দিয়ে এই বিচিওয়ালা পুরুষ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চায়। অথচ নারীর সেই গর্ভেই তাদের জন্ম।
নিজেদের জন্মকে উপহাস করা এই বলদ প্রজন্ম আধুনিক হয়েছে কিন্তু মানুষ হতে পারেনি।

প্রথম শারিরীক মিলনের রাতে মেয়েদের রক্তাত্ব হতেই হবে, এই ট্যাবু তে আক্রান্ত ধর্মগ্রন্হ থেকে দেবতা এমনকি উন্নত বিশ্ব পর্যন্ত।
হায়রে পুরুষ !!! কেউ আগা কেটে ধর্মের কথা বলে আর কেউ না কেটে ধর্মের প্রচার করে। বড় বিচিত্র এই পুরুষ সমাজ আমাদের।।


স্টপ দ্য ভি রিচ্যুয়াল এর মতো নারী গ্রুপ গড়ে উঠুক এই সমাজে তবেই মুক্তি মিলবে। নারীকে যদি সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হয় তবে পুরুষ কেন নয় ?


পুরুষ যদি নারীর উলঙ্গ শরীরের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে নারীদের আত্মহত্যা ও ব্লাকমেইল করতে পারে, তবে নারী ও সেই পুরুষের উলঙ্গ ছবি প্রকাশ করে দিয়ে এই সমাজে ওইসব পুরুষদের চরিত্র ফাঁস করে দিতে পারে।

কিছুদিন আগে বাংলাদেশের এক সাহসী মেয়ে সরাসরি ফেসবুক লাইভে এসে তার বাবার যৌন নির্যাতনের গল্প প্রকাশ করছে। এমন আরো অসংখ্য ঘটনা এখন থেকেই আরো ঘটবে।


দুশ্চরিত্র ও লম্পটদের হাতে এই সমাজ , ধর্ম ও দেশ জিম্মী থাকতে পারেনা।

যেইসব পুরুষ বলবে ” খাইয়া ছাইড়া দিছি” ওদের ছবি ও এখন থেকে নারীরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে যাতে ওই পুরুষ তোমাদের মতো অন্য নারীদের জীবন আর নষ্ট করতে না পারে।


আমাদের নারীরা কেন আত্মহত্যা করবে ??? আত্মহত্যা করবে ওইসব দুশ্চরিত্র , লম্পট পুরুষগুলো।। সাহসী ও প্রতিবাদী হতে শিখলে তবেই এই সমাজে কেউ নারীকে নষ্টা ও বেশ্যা বলার সাহস দেখাতে পারবে না।

নারীকে যারা নষ্টা ও বেশ্যা বানায় তাদের চরিত্র জনসমক্ষে প্রকাশ করে দাও দেখবে পুরুষ জাতি সুইয়ের মত সৌজা হয়ে যাবে।।

কারো সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক না করলে ও নারীদের এই পর্দা ছিঁড়ে যেতে পারে আধুনিক প্রজাতির পুরুষ তা ও মানতে চায়না। উন্নত বিশ্বের শত শত শত পতিতালয় ঘুরে আসা বাঙালি পুরুষ ও দেশে এসে ভার্জিন মেয়ে কে বিয়ে করতে চায় !!!


চার বছরের শিশু পর্যন্ত ধর্ষিত হয় আমাদের দেশে।  বাবা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হয়ে মেয়েকে ধর্শণ করেছে বান্দরবান জেলায়। মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে সেই বাবার বিরুদ্ধেই মামলা করলো।


এমনকি ইদানিং এই যৌনতা মাদ্রাসার হুজুরদের বলাৎকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাই।। এই জাতির চোখ , কান , নাক ও মুখ বড় হওয়ার সাথে সাথে এদের বুদ্ধি ও জ্ঞান লোপ পাচ্ছে তাই দেখছি আমরা প্রতিনিয়ত এই সমাজে।


বাবার কাছে পর্যন্ত তার কন্যা নিরাপদ নয়। এমন পুরুষ শাসিত সমাজে থু থু দিলে অনেক কম হবে। এদের লিঙ্গ কেটে তিন রাস্তার মোড়ে সাধারণ মানুষের দেখার সুব্যাবস্হার কথা বলছিলেন গতকাল আযম ভাই ।


এই লিঙ্গ নিয়ে এই পুরুষ জাতির এতো অহংকার কিসের ? সতীত্ব না থাকার জন্য এখনো স্বামীরা তাদের স্ত্রীকে পশুর মত পেটায় !! বাহ !!!

বেশ্যা তো আমাদের কারো না কারো মা ও বোন হয়। তবে সেই মা ও বোন কে পুরুষ সমাজ বেশ্যা বলার অধিকার কোথা থেকে পেয়েছে ?

এই বিচিত্র পশুদের কথা ভেবেই বিশ্ববিখ্যাত আমাজন কোম্পানি নারীদের জন্য ” আই ভার্জিন পিল ” বাজারজাত করছে। কাঁটা ছেড়া ও অজ্ঞান করা ছাড়া নারীদের শরীরে ওই অংশে জমে যাবে থকথকে নকল রক্ত।। পুরুষ জাতি এইবার ” আই ভার্জিন পিল” এর নকল রক্ত খেয়ে বড় হবে।।

আর বলবি – খাইয়া ছাইড়া দিছি!!!  এখন থেকে এই নকল রক্ত তথা আই ভার্জিন পিল তোদের মগজ থেকে শুরু করে সারা শরীর কুড়ে কুড়ে খাবে।।
সইতে ও পারবিনা , কইতে ও পারবিনা এর নাম হলো বিজ্ঞান।।

~ আলেকজান্ডার বুসেফেলাস
ওমর ফারুক শুভ
বাংলাদেশ ফোর্স ১৯৭১
আলো আসবেই।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD