ক্যানভাস
সারথি – অনেক হয়েছে জিরনো,
এই বেলা ওঠো
চলো , যাত্রায় ফের নিমগ্ন হই
শকট আর সওয়ারী যখন নিজেই নিজের,
নিরূত্তর হয়ে থাকিইনা কিছুটাক্ষণ নিজের নিজেতে…
এতো নির্বাক হয়ে কি দেখছো ?
গৃহস্থালি ধোঁয়াগুলো ক্যামন পরমাত্মীয়ের মতো
আঙিনায় নিকানো উঠোনের আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়
এলোমেলো হয়ে মৃদু বায়’ মৃদু পা’য়
এই ধুঁয়ার সাথে বিশেষ একটা অদ্ভুত চেনা অচেনা গন্ধ ভেসে বেড়ায় …
ওরা বেশ দলবেঁধে থাকে
তবে এ ব্যাপারে আমি স্থির যে
ধুঁয়ারা উড়ন্ত উঁচুতে উঠে
কখোনোই উড়ানছুট’ হয়না ওদের কেউ সহসা…
এই একটু আগেই ধোঁয়াদের যে জটলাটা দেখেছি
ছাতিম গাছের ছায়ায় বসেছিলো
আকাশপানে উন্মুখ হয়ে চেয়ে …
এ মুহূর্তে হাঁসচরা পুকুরের ওপাশটায়
নারকেল পাতায় লুকোচুরি খেলে হাত নেড়ে বিদায় জানিয়ে চলে যাচ্ছে
সন্ধ্যের ওই অস্পষ্ট দিকটায় …
ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখলে বুঝে ফেলা যায়
ওখানেই আছে জ্বলন্ত আগুনের জীবন্ত অধিবাস
সব কিছুতেই সব কিছুর যেমন স্বরূপ থেকে যায়
বৈশিষ্ট্যাবলী অজ্ঞান থেকে ক্রমশ উপগম্য হয়
কিংবা বোধে আসে পর্যায়ক্রমে
তারপর স্পৃশ্য হতে হতে কাছে এসে এসে
ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় …
বেশ , বলোতো সব বস্তুরই কি সাথে
প্রপঞ্চ গুণ থেকে থাকে ?
তাই কি হয় ?!
অনেক কিছুই গোপনে কথা কয়
বাস্তবেরও কিছু বাস্তব গুণ- রহিত থেকে যায় বাস্তবেই…
থামো , মাথার ভিতরে দু’টো লাইন অবতীর্ণ হলো
অক্ষরের জালে ওদের বেঁধে নিই –
গৃহস্থালি ধোঁয়ার পিছনে
আগুনের স্বরূপ লুকানো অধিবাস
চিত্রশিল্পী আঁকে নতুন ছায়াতে বসে
নতুন রঙের ক্যানভাস ………
Leave a Reply