কুহক রাত্রি
– পলক রহমান।
ট্রেনের হুইসেলটা নির্জন রাতের আঁধার ছিঁড়ে ফুঁড়ে এসে একাকিত্বের সঙ্গী হয় যখন তখন বেশ বুঝি রাতটা অনেক হল। কিন্তু এমন কুহক রাত্রির নেশাটা কিসে ঝুলে থাকতে চায় বুঝি না। বুঝি না রাত জাগাটা এখন একটা অসুখ নাকি ডিজিটাল নেশা।
স্ক্রীনের আলো নেভানোই ছিল, বিছানায় শরীরটা এলানো, চোখ বন্ধ করে স্বপ্ন দেখব না বলে ঘুমের সাথে সন্ধি করেছি। তবুও ঘুম আসে না। ঘুম কেন আসে না? কোল বালিশ-রাত্রির কোল দখল করে থাকে কিছু শিশু কবিতার মুখ।
আজকাল না পাওয়ার কষ্ট, অথবা যৌবনের সুখের গল্পগুলো ভাবনায় তেমন ওজনদার হয় না। তার চেয়ে বার্ধক্যের বৃত্তে একটা খাম খেয়ালি অংক তৈল মাখা বাঁশে বানর হয়ে খেলা করে। এত ডিজিটাল জঞ্জালের নিহারিকায় রাত তাই বড্ড বিচলিত!
রেল সড়কের পাশেই বাড়ি। তাই হয়ত চিন্তাগুলোও সমান্তরাল স্বয়ম্ভু। এখনও কিছুতেই বুঝি না যে,
কবিতা আগে; না- কবি, কন্ঠ আগে; না- গান, নেতৃত্ব আগে না- সংগঠন, পরিকল্পনা আগে; না- স্বপ্ন, মানুষ আগে; না- মানবতা, দেশ আগে; না- স্বাধীনতা? তাই কুহক রাত্রি এখন নিয়মিত সঙ্গী আমার।
০৪ এপ্রিল, ২০২৩।
Leave a Reply