হবে ভাই হবে
জানি না কবে হবে
।।
আমার জন্মদিনে দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া আমার বন্ধুরা আলাদা স্ট্যাটাস দেয় না।আমার বিজ্ঞান কবিতা নিয়ে নিজ থেকে দু’কলম লেখে না।তাতে আমি নিশ্চিত আমার মৃত্যু নিয়েও তেমন উচ্চবাচ্য হবে না।তাতে আমার লাভ আছে।আমাকে নিয়ে সমাজে কান্নাকাটি করার লোক কম থাকাতে আমি মরার পর অন্যের কষ্টের কারণ কম হব।
আমি যেনো অন্যদের কষ্টের কারণ না হই-এটা আমার চিরদিনের প্রচেষ্টা।তবে আমার পরিবার পরিজন আমার বিয়োগে ব্যথিত হবে-তাদেরকে এ কষ্ট দিতে চাই না।তাই আমার না মরার চেষ্টা সর্বত্র।যদি মরেও যাই তবুও আমি মরবো না আমার বিজ্ঞানকাব্যতত্ত্ব,বিজ্ঞানবাদরাষ্ট্রতত্ত্ব,বিজ্ঞানশিল্পতত্ত্ব এবং সাবলীল ছন্দ উপস্থাপন করার ফলে।এখন যারা আমার তত্ত্ব নিয়ে হতাশ তাদের সঙ্গে আমি একমত নই।কারণ এরই মধ্যে আমি কিছু করতে চাই এবং কিছু করেও দেখিয়েছি।এখন গতানুগতিক ব্যাখ্যাতাদের কাছে এটা আবিস্কৃত না হলেও একদিন তা আবিস্কৃত হবে।হতেই হবে।কারণ তাদের উত্তরাধিকারদের কিছু বলার থাকবে না,আমার উত্তরাধিকারদের কিছু বলার থাকবে।তাদের মত পাঠহীন হবে না আগামী প্রজন্ম।কেউ না কেউ পড়বে।
না পড়লেও ক্ষতি নেই।বাংলাসাহিত্যের বাঁক বদলে আমি যা করছি তাতে আমার আনন্দ আছে।”হাসছি খেলছি গাইছি সুখে /এই আনন্দ সদায় মনে/
এই আনন্দে সবাই বুকে/যারা আমায় ভালোবাসে না তারাও জনে জনে”।ঊনষাট বছর পার করেছি একটি তৃপ্তি নিয়ে।আমার মত কেউ আছে এত সুখি এই ভবে।দুশ্চিন্তা মুক্ত সাহিত্য জীবন জগতে সবাই পায় না।মা প্রকৃতি যাকে দেয় সে পায়।আমাকে যখন দিয়েছে তখন আমার ভবিষ্যৎ আছে।আমি প্রকৃতির দ্বারা প্রেরিত সাহিত্যকীট।বর্জ্য সব পরিস্কার করে দিতে এসেছি আমি।আমার স্থান কোথাও না কোথাও হবে।
আমাকে নিয়ে হতাশ না হয়ে আমার বইগুলো পড়েন।তাতে বন্ধু বলে জানবো।
কথা দিলাম…
Leave a Reply