শুয়ে থেকে একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। শুনি রান্নাঘরে ধুমধাম আওয়াজ। আমার জননী ছাড়া আর কে হবেন?
উনার জগত বলতেই রান্নাঘর, আর সংসার। এর বাইরে যা কিছু, তা হলো সবজি বাগান। কোনো এক কারণে আম্মা ফুলের বাগান পছন্দ করেননা। যেমন পছন্দ করেন না কারো নাক ঝাড়া, কান খোঁচানো, টাকলা মাথা, ভুড়ি।
আমার আব্বার মাথা ভরা চুল ছিল, ফিগার ঠিকঠাক ছিল। তাই হয়তো উনার এই ব্যারাম।
কিছুক্ষণ চুপ করে ঘরে গুটিয়ে থাকলেই আম্মা মনে করেন আমার শরীর খারাপ। তখন ডাকবেন, কিছু বানাবেন, চা করবেন, এটা-ওটা জানতে চাইবেন। অনেকটা সিনেমার নায়ক/নায়িকার গুলি খেয়ে শেষ নিঃশ্বাস ধরে রাখার মতো।
আওয়াজ শুনে রান্না ঘরে গেলাম। গিয়ে দেখি তিনি চা করছেন আর সাথে পুরি। চুলায় আগুন ধরানো তাঁর জন্য নিষেদ। মাঝেমাঝে আগুন জ্বালিয়ে চলে আসেন, নিভাতে ভুলে যান। কথা শুনেননা।
পরিবারে অন্যান্যরা থাকলেও, মা-মেয়ে দিনের পুরো সময়টা কাটাই একসাথে। ২৪ ঘন্টা এক সাথে। এই স্বৈরাচারী মানুষটা না থাকলে, আমার কি হবে! ভাবলেই অস্থির লাগে।
মা বাবাকে যত্ন করা দরকার। বৃদ্ধ বয়স মানে তাঁরা শিশু। মানে, তাদের প্রতিটা মুহূর্ত শেষের দিতে যাচ্ছে। মরে গেলেই গেল!
তাই যতটা সম্ভব, গা ঘেঁষে থাকি।
আম্মাকে নিয়ে লিখলে, পোস্ট করলে তিনি খুব খুশি হোন। তাই পোস্ট করি। কতজন তো কত কি পোস্ট করেন। আমি না হয় মায়ের চা-পুরি বানানো নিয়ে করলাম।
Leave a Reply